ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভয়ঙ্কর মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আল আমিন

যৌন নিপীড়নের স্বীকারোক্তি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগে মাওলানা মো. আল আমিন নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। এ সময় তার মোবাইল ফোন ও অফিসের কম্পিউটার থেকে অনেক পর্নো ভিডিও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। এদিকে তার শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় বায়তুল হুদা মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আটক আল আমিন ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকায়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, মাদ্রাসার দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১২ ছাত্রী ওই শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই মো. আল আমিনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষক সিরিয়াল রেপিস্ট আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতারের ঘটনায় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদের ভিডিও ক্লিপ তার ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেছিলেন। ২ জুলাই বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং তার মা ফেসবুকে ভিডিওটি দেখেন।

এ সময় হঠাৎ ওই ছাত্রী তার মাকে বলে, ‘মা আমাদের হুজুরকে কেন গ্রেফতার করে না র‌্যাব, আমাদের হুজুরও আমাদের সঙ্গে এ রকম করে। আমার ওই মাদ্রাসায় যেতে ভালো লাগে না। আমি মাদ্রাসায় আর যাব না।’

পরে বিষয়টি ওই ছাত্রীর মা র‌্যাবকে জানান। পরে তিনি (আলেপ উদ্দিন) ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির জবানবন্দি নেন এবং শিশুটিকে কৌশলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। বর্বর ওই শিক্ষক ১২ জনের বেশি শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করেছে।

র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে সপরিবারে বাস করেন আল আমিন। বাসায় তার স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে তিনি ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যক্ষ তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।

 
Electronic Paper