পথের কাঁটা ১৩ খুঁটি
সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ৬:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯
কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের কাজ শেষ প্রায়। কিন্তু ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার (নিকলী-করিমগঞ্জ) এ সংযোগ সড়কের মাঝখানে পল্লীবিদ্যুতের ১৩টি খুঁটি রেখেই শেষ করা হয়েছে পিচ ও ঢালাইয়ের কাজ। খুঁটিগুলো এখন স্থানীয়দের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৫ সালে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। তখন কাঁচা মাটির রাস্তা ছিল। হাওরে পল্লীবিদ্যুতায়ন শুরু হলে উপজেলার কারপাশা, বদলপুর, গৌরীপুর, শান্তিপুর, সহরমুল, জালালপুর ও নানশ্রী গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রাস্তার পাশে খুঁটি স্থাপন করা হয়।
এখন সড়কটি পাকা করার ফলে প্রশস্ত হয় দ্বিগুণ। এতে বিদ্যুতের খুঁটি সড়কের মাঝখানে পড়ে যায়। কিন্তু এগুলো না সরিয়েই নিকলী অংশের প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে নানা জটিলতায় করিমগঞ্জ অংশের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ মন্থরগতিতে চলছে। এ অংশে এখনো ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খুঁটিগুলো না সরানোর ফলে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। দ্রুত খুঁটিগুলো সরানোর দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মনির উদ্দিন মজুমদার জানান, সড়কের মাঝখান থেকে খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ঠিকাদারের লোকজন ইতোমধ্যে নতুন খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছে। সড়কের মধ্যস্থল থেকে খুঁটি সরিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই নতুন খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থানান্তর করা হবে।
এলজিইডির নিকলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান মুহিম জানান, নানা টালবাহানার পর কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অনুকূলে খুঁটি স্থানান্তর ব্যয় বাবদ ১২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো খুঁটিগুলো সরিয়ে নেয়নি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। এ ছাড়াও নিকলী অংশের সড়কের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুর্গম হাওর জনপদে এ সড়ক দিয়ে নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের লোকজন কিশোরগঞ্জ জেলা সদরসহ করিমগঞ্জ, তাড়াইল এবং দেশের যে কোনো জায়গায় যাওয়াত করে থাকেন। ফলে এটি হাওরের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক।