ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নার্স তানিয়া গণধর্ষণ ও হত্যা

দুই আসামি ধরতে পুরস্কার

সাজন আহম্মেদ পাপন
🕐 ১২:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৯

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ শেষে হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে পুরস্কার দেবে পুলিশ। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা না দিলেও এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ। পুরস্কারের এই অর্থ দেওয়া হবে প্রত্যেক আসামি বাবদ কমপক্ষে অর্ধলাখ টাকা। গতকাল শুক্রবার জেলা পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওয়ান্টেড দুই আসামি হলেন বোরহান ও আল আমিন। এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা ধরা পড়েননি। পুলিশ জানিয়েছে, বোরহান ও আল আমিনের খোঁজে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, ধরা পড়বেনই। আসামিরা পুলিশের চোখ এড়িয়ে বেশি দিন থাকতে পারবেন না।

গত ৬ মে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বর্ণলতা যাত্রীবাহী বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে (২৪) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। রাত সাড়ে ৮টায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গজারিয়া জামতলীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিনুর কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।

মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার মো. লালন মিয়া ছাড়াও সন্দেহভাজন আসামি কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, লাইনম্যান মো. খোকন মিয়া ও পিরিজপুর কাউন্টার মাস্টার মো. বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বকুলকে ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ধর্ষক বোরহান ও বাসের সুপারভাইজার আল আমিন এখনো ধরা পড়েননি।

বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার মো. লালন মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণ ও হত্যায় বোরহানের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, বোরহান ও আল আমিনকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। তারা পুলিশের জালে ধরা পড়বেই। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, সর্বোচ্চ মহল থেকে উক্ত বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। তাই তাদের গ্রেফতার সময়ের ব্যাপার মাত্র।

 
Electronic Paper