ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তানিয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা

অগ্রগতি নেই তদন্তে

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
🕐 ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনূর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। গত ৬ মে রাতে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স তানিয়াকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে স্বর্ণলতা পরিবহনের চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে। পুলিশ বাসের ড্রাইভার নূরুজ্জামান ও হেলপার লালনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ড্রাইভার নূরুজ্জামান ও হেলপার লালন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে দুজনই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে তাদের সঙ্গে ড্রাইভারের খালাত ভাই বোরহানের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। রিমান্ড শেষে তারা এখন জেলহাজতে।

এদিকে ঘটনার ২১ দিন পার হলেও ধর্ষণ ও হত্যা জড়িত বোরহানকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এএসপি মো. রেজওয়ান দীপুর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলামের নেতৃত্বে আরও পাঁচ সদস্যের একটি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটিসহ মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অথচ, ২১ দিন পার হলেও উক্ত তিন কমিটির কোনোটিরই তদন্তের কোনো অগ্রগতি জানা যায়নি।

অপরদিকে তানিয়া গণধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছে।

তানিয়ার বড় ভাই আক্তারুজ্জামান বাদল হতাশা ব্যক্ত করে জানান, বাজিতপুর থানা পুলিশ ২১ দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত শুক্রবার তিনি বাজিতপুর থানায় গিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সারোয়ার জাহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু পুলিশ কোনো নতুন তথ্য দিতে পারেনি।

 
Electronic Paper