শিবচরে পদ্মায় বাড়ছে পানি ঈদযাত্রায় শঙ্কা
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯
পারাপারে সময় কম লাগায় প্রতিবারের মতো এবার ঈদেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ পড়বে। তবে ভরা বর্ষা মৌসুম আসন্ন হওয়ায় এ রুটে ঝড়ো আবহাওয়া ও স্রোতের গতিবেগ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ফলে নাব্য সংকটও দেখা দিতে পারে। চলমান লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহারে আগের মতোই উদাসীন থাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কা আরও বেড়েছে। বিকল্প চ্যানেল তৈরিতে কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তবে বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্নে করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের উপ-পরিচালক আসগর আলী বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌচ্যানেল এখন পর্যন্ত ভালো আছে। বর্ষার যে সময় নদীতে স্রোত ও ঢেউ বেশি থাকে, পলি বেশি পরিমাণে ভেসে আসে সেই সময়টাতে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে জন্য আমাদের ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে আর সামনে ঈদ রয়েছে তাই নৌরুটে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নতুন চ্যানেলের কাজ চলছে।
মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, প্রতিবারের মতো এ বছরও কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। আমরা লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট ঘাট আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যে কোনো উপায়ে যাত্রী হয়রানি করা হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের স্বল্প দূরত্বের কারণে প্রতিবছরই দেশের রেকর্ড সংখ্যক যাত্রীদের ঢল নামে এ রুটে। সেই সঙ্গে যানবাহনের চাপও বাড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ। আসন্ন ঈদে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেড়ে আগের যে কোনো ঈদের চেয়েও ভিড় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌ রুটটিতে ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় দুই শতাধিক স্পিডবোট চলায় ও উভয় পাড় থেকে সড়কপথে অসংখ্য যানবাহন থাকায় রুটটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। অন্যবারের চেয়ে এবারের প্রস্তুতিও ব্যাপক। থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ, র্যাবসহ বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। তবে ভরা বর্ষা মৌসুম চলায় ঝড়ো আবহাওয়া ও স্রোতের গতিবেগ বেড়ে ঝুঁকির কারণ হতে পারে।