নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে
গাজীপুর প্রতিনিধি
🕐 ১২:৫০ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০১৯
নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ১২ দিন পরে গাজীপুরে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়নের কামারজুটি এলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইসমাইল হোসেন জিসান রাজধানীর শ্যামলী ২নং রোড এলাকার সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। জিসান ইউরোপীয় ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। এছাড়াও তিনি পাঠাওয়ের মোটরসাইকেলচালক ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক যুবক হাসিবুল ইসলাম গাছা থানার কামারজুটি মধ্যপাড়া এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী ও একই এলাকার বাসিন্দা।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, ১২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থেকে নিখোঁজ হয় ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান। তিনি পাঠাওয়ের মোটসাইকেলচালক ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে জিসানের পাঠাও মোটরসাইকেল ভাড়া করে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় যান যাত্রীরা। এরপর থেকে তার কোনে খোজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ ঘটনার পরে জিসানের বাবা ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় রাতে গাছা থানায় জিডি করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন। এর একদিন পর ছেলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শেরেবাংলা থানায়ও জিডি করেন তিনি। এর পরই অভিযানে নামে পুলিশ।
এদিকে গোপন তথ্য পেয়ে সেখানে বুধবার রাতে অভিযান চালায় গাছা ও শেরেবাংলা থানাপুলিশ। অভিযানে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে হাসিবুরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে জিসানের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিবুর জিসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার মৃতদেহ তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়েছে বলে জানান। তার তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।