স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সেই পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
মাদারীপুর প্রতিনিধি
🕐 ১:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৯
মাদারীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে মোক্তার হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত রোববার রাতে গুরুতর আহত ওই স্কুলছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার মোক্তার হোসেন নামে ওই পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল) প্রত্যাহার করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে ভাড়া বাসায় থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যান। এই সুযোগে রোববার রাতে প্রতিবেশী ওই স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে মোক্তার হোসেন স্কুলছাত্রীকে পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রী বলে, মোক্তার হোসেন আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে আমাকে সে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার পায়ের হার ভেঙে গেছে। এর আগে সে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে সে মেয়েটিকে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শশাঙ্ক ঘোষ জানান, ধর্ষণের অভিযোগে একটি মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ের সঙ্গে আমার কিছু হয়নি। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে আপনি পুলিশ সুপার বা ওসির সাহায্য নেননি কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।