ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সেন্দিয়া গণহত্যা দিবস আজ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
🕐 ১০:০০ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৯

আজ ১৯ মে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেন্দিয়া গণহত্যা দিবস। একাত্তর সালের এই দিনে রাজৈরের খালিয়া ইউনিয়নের সেন্দিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ী ও খালিয়া গ্রামে দেড় শতাধিক মুক্তিকামী মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল পাকসেনা ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-সামসদের হাতে। তবে স্বাধীনতার ৪৭ বছরও গণহত্যা দিবস পালন বা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, পাকসেনারা মাদারীপুরের টেকেরহাট বন্দরে ক্যাম্প স্থাপনের পর শুরু করে পৈশাচিকতা। ১৯৭১ সালের ১৯ মে পাকবাহিনী লঞ্চযোগে গোপালগঞ্জ জেলার ভেন্নাবাড়ী ঘাটে নেমে চরচামটা নামক এলাকা থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও অগ্নি সংযোগ শুরু করে।

সেখান থেকে পাকবাহিনী নৌপথে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হয়ে রাজৈরের কদমবাড়ী এলাকায় অগ্নিসংযোগ করেছে খবর পেয়ে খালিয়া ইউনিয়নের সেন্দিয়া, পলিতা, খালিয়া ও ছাতিয়ানবাড়ী এলাকার হাজার হাজার মানুষ আখ ক্ষেতসহ বিভিন্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।

যারা বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে পারেনি তাদের ধরে নিয়ে যায় পশ্চিম সেন্দিয়া ফকিরবাড়ি, সেন্দিয়া বাওয়ালী, বারিকদার বাড়ির উত্তর বাঁশ বাগান, শচীন বারিকদারের বাড়ির দক্ষিণ খালপাড় এবং ছাতিয়ানবাড়ির পুকুর পাড়ে। কারো চোখ বেঁধে, কারো হাত-পা বেঁধে, বাবা-মায়ের সামনে সন্তানকে, আবার সন্তানের সামনে বাবা-মাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আবার কাউকে আগুনে পুড়িয়ে বা গুলি করে হত্যা করে পানসেনারা। অনেককে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

রাজৈর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকান্দার আলী শেখ জানান, পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে খালিয়ার সেন্দিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ী ও খালিয়া গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

 
Electronic Paper