গাজীপুরে রমজানের আগে দুশ্চিন্তায় ক্রেতারা
তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ১০:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
রমজানের আগেই গাজীপুরে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একই ধরনের নিত্যপণ্য ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগেই পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ মে দৈনিক খোলা কাগজে ‘রমজানের আগেই গাজীপুরে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে বেড়ে ৬৫, সায়াবিন তেল ৮৫ থেকে বেড়ে ১০০, ছোলা ৮০ থেকে বেড়ে ১০০, মুড়ি ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন খুচরা এবং পাইকারি চালের দোকানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির তথ্যেও থাকে প্রতিবেদনটিতে।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৯ মে রমজানের কিছুদিন আগে খোলা কাগজে ‘গাজীপুরে নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস’ শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে ২০১৭ সালের মতো ২০১৮ সালেও জেলার বাজারগুলোতে মুড়ি, সয়াবিন তেল, চিনি, ছোলা এবং বিভিন্ন জাতের চালের দাম বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশিত হয়। অনুসন্ধান বলছে, বিগত বছরের মতো এ বছরেও রমজানের আগে মুড়ির দাম বেড়েছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন বাজারে ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে মুড়ি বিক্রি হলেও রমজান মাসে কেজিপ্রতি আরও ৫-১০ টাকা বাড়তে পারে বলে খুচরা বিক্রেতাদের আশঙ্কা।
তবে জেলার মুড়ি মিল মালিকরা জানান, ‘৫০ কেজি মুড়ির বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।’ অথচ পাইকারি মুদি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ‘ছয় মাস আগেও মোটা চালের এক বস্তা মুড়ির দাম ছিল ১৮শ যা বর্তমানে ২৪-২৫শ টাকা। এ ছাড়া চিকন চালের মুড়ির বস্তা ২২শ থেকে বেড়ে ২৭শ টাকা হয়েছে।’
জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ‘গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ছোলার কেজি ৭০ থেকে বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ কালীগঞ্জ উপজেলায় ৭০-৭৪ টাকা এবং শ্রীপুরে এক মাসের ব্যবধানে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা কেজি দরে ছোলা বিক্রি হচ্ছে।’ একইভাবে দেশি মসুর ডাল ৯০ থেকে বেড়ে ১০০, সয়াবিন তেল ৮৫ থেকে বেড়ে ১০০, চিনি ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া রমজানে ইফতার তৈরিতে প্রয়োজনীয় বেসনের কেজি ৬০ থেকে বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে।
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, ‘রজমানের আগে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এ ছাড়া রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযানসহ বাজারগুলোতে মূল্যতালিকা টানানো নিশ্চিত করা হবে।’