পাওনাদারের বাড়িতে মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা
নরসিংদী প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় দীর্ঘদিনের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে জালাল উদ্দিন নামে এক ইউপি সদস্যের সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন হানিফ নামে এক পাওনাদার। হামলাকারীদের চাপাতির কোপে গুরুতর জখম হয়ে তিনি এখন ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার মাথায় ও মুখে ৪৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন হানিফের পরিবারের আরও তিন সদস্য। ভাঙচুর করা হয়েছে হানিফের ঘরে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামালও।
গত শনিবার সকালে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া জালাল উদ্দিন ডাঙ্গা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। এছাড়া তিনি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
আহত হানিফ মিয়ার বড় ভাই নবিউল্লাহ জানান, ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনের কাছে ছয় মাস আগে ছোট ভাই হানিফ তার ভাটায় দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করেছিল। জালাল মেম্বার মাটি বিক্রির ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাকি দুই লাখ টাকা আর পরিশোধ করেননি। দীর্ঘদিন ধরে টাকা চাইলেও তিনি টাকা না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখাতেন।
গত শনিবার বাড়ির পাশ দিয়ে জালাল মেম্বার রিকশা দিয়ে যাওয়ার পথে হানিফ পাওনা টাকা চাইলে মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করের। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে হানিফ বাড়িতে চলে আসলে জালাল মেম্বার ফোন করে ২৫-৩০ জন লোক এনে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা ঘরে থাকা ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে তাদের মধ্যে কয়েকজন আমার বৃদ্ধ মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে।
ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জানান, হানিফ মাটি বিক্রির কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। তাকে সময়মত পরিশোধ করবো বলেও জানিয়েছি। ঘটনার দিন হানিফ প্রথমে আমার ওপর আঘাত করে। পরে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী হামলা করে। হামলার সময় নিজের উপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি প্যানেল চেয়ারম্যান। আমার শরীরে সে আঘাত করেছে তাকে তো তখনই মেরে ফেলতাম।
পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, বাড়িঘরে হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ইউপি সদস্যের ওপর হামলার বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।