মঙ্গলবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার হাতে তুলে দেন তারা। ওই স্মারকলিপিতে সম্প্রতি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বেশ কিছু বক্তব্যে বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, সেলিনা হায়াৎ আইভী যেসব বক্তব্য দেন তাতে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করা হয়। মেয়র আইভীর সঙ্গে জামায়াত ইসলামীর সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে সেখানে বলা হয়, আইভীর বক্তব্যে সরকার, আওয়ামী লীগকে ছোট করা হয়।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খাঁন কাজল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া প্রমুখ।

পরে স্মারকলিপি সাংবাদকিদের পড়ে শোনান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং ’৭৫-পরবর্তী সময়ের ভূমিকা নিয়ে যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন, তাতে নারায়ণগঞ্জবাসী গর্বিত ও সম্মানিত হয়েছে।

কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, নারায়ণগঞ্জে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেই একটি জনবিচ্ছিন্ন শ্রেণি এই পরিবারটিকে টার্গেট করে মাঠে নামে এবং বিভিন্ন আপত্তিকর বক্তব্য দিতে শুরু করে। সংবিধানের বাহক সেজে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করা ক্ষমতার জন্য লালায়িত কিছু বড় বড় ডক্টর সাহেবদের প্রেসক্রিপশনে ঘন ঘন রাজধানী থেকে তথাকিথত কিছু সুশীলরা নারায়ণগঞ্জে আসছেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী আমন্ত্রণে এসেই তারা সরকার ও ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেন।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গত ৬ মার্চ মেয়র আইভী জনসম্মুখে বললেন, নারায়ণগঞ্জে আজ পর্যন্ত যত খুন হয়েছে সেসবই ওসমান পরিবারের দ্বারা হয়েছে। আমরা স্তম্ভিত হলাম।

আমরা আরও অবাক হলাম যখন শুনলাম মেয়র আইভী বলছেন, ‘সাগর-রুনির ব্যাপারে আমরা অনেক কিছুই জানি, অনেক কিছু জড়িত, তনু হত্যার বিচার কেন হচ্ছে না, সেটাও জানি কারা জড়িত’ শুধু তাই নয়, মেয়র আইভীর উপস্থিতিতে ভাড়া করে আনা সুশীল ও তার সঙ্গে থাকা জনবিচ্ছিন্ন গুটি কয়েক লোক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেসব মিথ্যাচার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে তাতে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

স্মারকলিপিতে মেয়র আইভীর সঙ্গে জামায়াত ইসলামী সখ্যতা ও সম্পৃক্ততা রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াত আমির অবলিলায় স্বীকার করেছেন বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে বর্তমান সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যন্ত মেয়র আইভীকে কীভাবে কি কৌশলে জামায়াত পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। এর মূল কারণ, পারিবারিকভাবে জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে মেয়র আইভীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।