ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গাজীপুরে এক বছরে ৫৯ খুন

তানজেরুল ইসলাম, গাজীপুর
🕐 ৯:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯

গাজীপুর শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে জেলাটিতে। এতে শ্রমিক অধ্যুষিত জেলাটি এখন ঘনবসতিপূর্ণ। এই সুযোগে জেলাজুড়ে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ। বিশেষ করে জেলায় একের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত গাজীপুরে ৫৯টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ১৪ নারী ও এক হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কার্যক্রম শুরুর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেট্রো এলাকায় তিন শিশু, দুই কিশোর, এক নারী ও নয়জন পুরুষসহ ১৫ জন খুন হয়েছে। এ ছাড়া মস্তকবিচ্ছিন্ন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অনুসন্ধান বলছে, গাজীপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদী। জেলাটি টেঁটাযুদ্ধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের জন্য পরিচিত। গাজীপুরের পার্শ্ববর্তী আরেক জেলা টাঙ্গাইল। তবে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দুই জেলার চাইতে এগিয়ে গাজীপুর।

জানা গেছে, বিশ বছর আগে নগরের ছয়দানা মালেকেরবাড়ী এলাকায় হামিদ (২০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ছেলেটিকে হারিয়ে কিশোরী দুই মেয়েকে নিয়ে বিধবা হামিদা বেগম তার জীবদ্দশায় ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে পারেননি। ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ছেলে হত্যা মামলার বাদী হামিদা বেগমকেও (৬০) গলা কেটে হত্যাকরে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পারুল বেগম জয়দেবপুর থানায় কয়েকজনের নামোল্লেখসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার প্রধান আসামির হুমকি ধামকিতে গাজীপুর মহানগরের বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে অনেকটাই আত্মগোপনে আছেন পারুল।

পারুল বেগমের অভিযোগ, হত্যা মামলা দায়েরের দীর্ঘদিন পরও প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ প্রধান আসামি তাকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে তিনি মহানগরের বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে অন্য এলাকায় চলে গেছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান খোলা কাগজকে জানান, জিএমপিতে পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে। সাড়ে তিনশ পুলিশ সদস্য নিয়ে জিএমপি কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমান জনবল সাড়ে পাঁচশ।

মহাসড়েকের পাশে অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। জনবল বৃদ্ধি পেলে মেট্রো এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কমে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেছেন।

 

 
Electronic Paper