দৌলতদিয়ায় পদ্মার ভাঙন শুরু, আতঙ্কে স্থানীয়রা
গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
🕐 ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৩
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মায় ফের শুরু হয়েছে ভাঙন। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ২০০ মিটার উজানে নতুনপাড়া গ্রামে এই ভাঙন দেখতে পাওয়া যায়। ফলে অসময়ে নদীভাঙন দেখা দেওয়ায় সেখানে প্রামবাসীদের মনে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬মে) সরজমিন দৌলতদিয়া নতুন পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় এখানে বসবাসরত প্রায় সবারই দুই তিনবার করে বাড়ি ভাঙার পর তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। সবাই জায়গা লিজ নিয়ে। কেউ ফেরিতে বিভিন্ন জিনিস ফেরি করে বেচে আবার কেউবা লঞ্চ ঘাটে। আবার অনেকেই দিন মজুর কিংবা কুলি। অথচ একযুগ আগে অনেকেই ছিল বড়বড় গৃহস্থ। গোলা ভরা ধান আর গোয়াল ভরা গরু। এখন সেগুলো নিছক স্বপ্ন মনে হয়।
দুই দশকে দুই তৃতাংশ পদ্মা পাড়ের এলাকা নদীগর্ঘে চলে গেছে। এখনই ভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে গোয়ালন্দের মানচিত্র থেকে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া নামের দুটি ইউনিয়ন হারিয়ে যাবে।
এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নদীবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় দৌলতদিয়া প্রান্তে নদীর তীর রক্ষায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার কথা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রকল্পটির নকশা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করে তা অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, কয়েকদিন ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে বালুভরা বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা।
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘নদীর তীর রক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে ভাঙনের হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ আশপাশের ভিন্ন গ্রাম। প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’