ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩ | ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বোয়ালমারীতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ

এস এম আকাশ, ফরিদপুর
🕐 ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৩

বোয়ালমারীতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের সূত্র ধরে ওই চোরকে আটক করতে গিয়ে আরো ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোটরসাইকেল চোর চক্রের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পলাতক চোরসহ চোর চক্রের সকল সদস্যদের আটকের জন্য কঠোর নজরদারী ও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান মধুখালী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি সুমন কর।

 

জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী উপজেলার বিপ্লব নামে এক ব্যক্তির একটি মোটরসাকেল চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে বোয়ালমারীর গুনবহা ইউনিয়নের অমৃত নগর এলাকার মেম্বারখ্যাত মফিজ মোল্ল্যা নামক এক ব্যাক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ শনিবার বোয়ালমারী পৌর বাসটার্মিনালে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃত নগর এলাকার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক শহিদুল নামক এক ব্যাক্তির কাছে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি দেখতে পায় মোটর সাইকেলের মালিক বিপ্লব। পরে বিপ্লব মোটরসাইকেলটি নিজের দাবি করলে ওই মোটরসাইকেল আরোহী শহিদুল গাড়িটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বিপ্লব ঘটনাটি বোয়ালমারী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার পুর্বক আরো ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে শহিদুলের পাশ্ববর্তী মফিজ মোল্যার বাড়ি থেকে আরো ৪ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় ৫ টি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই চোর চক্রের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

আরো জানা যায়, শহিদুল নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন এলাকায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে জুয়া ও বিভিন্ন মাদক সেবনসহ চুরি ছিনতাই করে আসছিলো। এরআগে বোয়ালমারী উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন এর ছেলে শাকিলের একটি মোটর সাইকেল চুরি যাওয়ার পর তা একই স্থান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও সম্প্রতি অমৃত নগর মাদ্রাসা থেকে ৩ লক্ষ টাকা চুরি হলে এ বিষয়ে কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে শাহিদুল ও মফিজের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ঘটনার সাথে অভিযুক্ত শাহিদুল ও মফিজের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি এবং তাদের ফোন নাম্বার বন্ধ থাকার কারণে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওহাব জানান এ বিষয়টি আমিসহ আমার সকল অফিসারবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত খতিয়ে দেখছি। আশা করছি অতি দ্রুত চোর চক্রের সকল সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।

মধূখালী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি সুমন কর জানান, ঘটনাস্থলে চোর চক্রের সদস্যদের পাওয়া না গেলেও একটি সিন্ডিকেট এখানে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে এবং এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিবো। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো আপাতত থানায় জব্দ তালিকায় রয়েছে।

 
Electronic Paper