সৌদিতে ছেলের মৃত্যুর সংবাদে স্বজনদের আহাজারি
টঙ্গী প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৩
পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন করতে গিয়ে গত ২৭শে মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় সৌদিআরবে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের একজন গাজীপুরের টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে ইমাম হোসাইন রনি (৪০)। ওমরা পালন শেষে ১ তারিখ থেকে সৌদি আরবে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।
গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। এর আগে দেশে এসে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিমু আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন রনি।
দুর্ঘটনার খবর স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর পর শোকে বাকরূদ্ধ পুরো পরিবার। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বড় দেওড়ার ফকির মার্কেট এলাকা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বড় দেওড়া ফকির মার্কেট এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতো ইমাম হোসেন রনির পরিবার। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরে হলেও ফকির মার্কেট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন রনির বাবা আব্দুল লতিফ। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রনি দ্বিতীয়।
রনির বোন সীমা আক্তার জানান, ৫ বছর যাবৎ রনি সৌদি আরব প্রবাসী। দুই মাসের ছুটিতে ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ বাংলাদেশে এসে ৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে রনি। তার প্রথম স্ত্রী মলি আক্তার এক সন্তান রেখে তালাক দিয়ে চলে যায়। রনির প্রথম পক্ষের একমাত্র ছেলে ইসমাইল হোসেন (১১) স্থানীয় নামা এরাবিক ইনস্টিটিউট নামক মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রথম স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার পর রনির ছেলে ইসমাইল দাদা দাদীর সাথেই থাকে। এই অবস্থায় ছুটিতে বাড়ি এসে শিমু আক্তারকে বিয়ে করেন রনি।
নিহত রনির ভাই হোসেন আলী জসিম জানান, ২৫ মার্চ উমরাহ পালনের জন্য ভাইকে বিমান বন্দর দিয়ে আসি। ঠিকঠাক মত রনি গন্তব্যে পৌঁছে যায়। ওমরাহ পালন শেষে ১ এপ্রিল কাজে যোগদানের কথা ছিল তার। কিন্তু ২৭ তারিখ সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যায়।
রনির বাবা আব্দুল লতিফ জানান, আমার বুকের মানিককে হারিয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি। সরকারের কাছে আমার আবেদন তাড়াতাড়ি যেন ছেলের লাশটা আমার কাছে পাঠায়। ইমাম হোসেনের ছেলে ইসমাইল বুঝে উঠতে পারছে না তার বাবা নেই। কেঁদে কেঁদে শুধু বলছে বাবা মারা গেছেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, লাশ আসার পর সরকারী নির্দেশনা অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে।