ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩ | ৭ চৈত্র ১৪২৯

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম শুরু

মাদারীপুর প্রতিনিধি
🕐 ৭:১৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম শুরু

নির্মাণের ৩ বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্মিত জেলা সদর হাসপাতালের নিচতলায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি।

সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম প্রমুখ।

স্থানীয় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে সালে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে ২০১৯ সালে গণপূর্ত বিভাগে কাজ শেষ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। তবে দীর্ঘ দিনেও নতুন ভবনে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সেবা চালু না হওয়াতে ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী। পরে গত বছরের ১৪ নভেম্বর মাদারীপুর সদর হাসপাতালের বর্ধিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অনতিবিলম্বে চালু করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহাসচিব (ডিজিএইচএস), মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগ, মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগ, সিভিল সার্জন, মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, জেলা প্রশাসক এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল আশিক (তারেক শরীফ)।

তারা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক পিটিশনার হয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরে গত ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের বর্ধিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু না হওয়ার কারণ জানতে রুল জারি করেন।

হাসপাতালের কার্যক্রম কেন চালু করা হচ্ছে না তার প্রতিবেদন আগামী ২ মাসের মধ্যে আদালতে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দাখিলকৃত দরখাস্তটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বৃহস্পতিবার ৫০টি শয্যা দিয়ে অংশিকভাকে ২৫০ বিশিষ্ট সদর হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু করে।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক জানান, ৩০ কোটি টাকা মূল্যে নির্মিত ওই হাসপাতালটি নির্মাণ কাজ অনেক আগেই শেষ হলেও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানতে পারি কার্যক্রম শুরু না হলেও মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একারণে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছি।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা.মুনির আহমেদ খান জানান, অবশেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে রোগীদের আরো ভালো সেবা প্রদান করা যাবে।

 
Electronic Paper