ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩ | ৭ চৈত্র ১৪২৯

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আশুলিয়ায় আরিফ হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার

শাহিনুর রহমান শাহিন, সাভার
🕐 ৭:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

আশুলিয়ায় আরিফ হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার

ঢাকার আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস আরিফ হত্যাকান্ডের মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪।

নিহত আরিফ হোসেন (১৯) সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থানার বাজরা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি রং তৈরির কারখানায় চাকুরি করতেন। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় বিশ্বাসপাড়া এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরের দিন আশুলিয়ার কলতাসূতি বাড়ল কবরস্থানের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার দুপুরে র‌্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানান, গত ২৪ জানুয়ারি সকালে আশুলিয়ার কলতাসূতি বাড়ল কবরস্থানের পাশ থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় আরিফের লাশ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ২৮ জানুয়ারি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত মূলহোতা সেন্টু সরদার (৩৫) সহ মোঃ জমির উদ্দিন (৩৩), রাব্বি আহম্মেদ (২৪), ও মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা র‌্যাবকে জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ও সুকৌশলে আরিফ (১৯) কে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভিতর নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং আরিফের মুখ চেঁপে ধরে ও পরিহিত প্যান্ট খুলে হাত-পা বেধে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। আরিফ টাকা দিতে অস্বীকৃত জানায় ও ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে আসামীরা আরিফের গলায় চেঁপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আরিফ এর মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশটি কবরস্থানের নির্জন এলাকায় ফেলে তারা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপন করে।

র‌্যাব ৪-এর কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবন্ধভাবে দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও গাবতলী-পাটুরিয়া মহাসড়কসহ সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই এর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে সুকৌশলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্জন স্থানে আটকে রেখে ভিকটিকমের স্বজনের নিকট মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করত। একই সাথে তারা অপহরণ, চুরি ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চুরি ও ছিনতাই এর একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বিগত তিন-চার বছরে ৬০ টির অধিক প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির কাজ করে আনুমানিক ২৫-৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও জানান তিনি।

 

 
Electronic Paper