ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জরাজীর্ণ সড়কে ভোগান্তি চরমে

আজাদ নাদভী, সিরাজদিখান
🕐 ২:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২২

জরাজীর্ণ সড়কে ভোগান্তি চরমে

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সিরাজদিখান-মালখানগর সড়কের সন্তোষপাড়া তিন রাস্তার মোড় থেকে টেংগুরিয়াপাড়া তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার খানাখন্দে জরাজীর্ণ সড়কের কারণে রশুনিয়া, ইছাপুরা, মালখানগরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সিরাজদিখান উপজেলা সদরের সাথে মালখানগর ইউনিয়নের ব্যস্ততম সংযোগ সড়কের আধা কিলোমিটার জায়গা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে থাকলেও দেখার যেন কেউই নেই। এমনকি কারো কোন মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। এদিকে উপজেলা সদরের সাথে মালখানগর ইউনিয়নের যোগাযোগের এ রাস্তাটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে থাকার কারণে প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসী ও পথচারীদের অভিযোগ, জরাজীর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের কোনো পদক্ষপে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পানি জমে ছোট পরিসরের পুকুরের আকার ধারণের কারণে কখনো কখনো হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয় উঠে মর্মে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজদিখান-মালখানগর সড়কের সন্তোষপাড়া তিন রাস্তার মোড় থেকে টেংগুরিয়াপাড়া তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কটিতে ভারী বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার জনসাধারণ ও স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ। রাস্তাটির পারাপারের সময় পরনের পোষাক কর্দমাক্ত হয়ে পুনরায় পোষাক বদলে স্কুলে যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের।

রাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ বলেন, রাস্তাটিৃ বহুদিন ধরে গর্তের সৃষ্টি হয়ে লোকজনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির গর্তসমূহে পানি জমে গাড়ী চলাচলের প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়ায়। রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি, কাঁদা ছিটকে গিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পোশাক নষ্ট হয়ে যার। রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরী হয়ে পরেছে।

এ ব্যপারে উপজেলা (এলিজিইডি) প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ আছে। টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করা হবে।

 
Electronic Paper