চৈতি কম্পোজিটের বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়
সোনারগাঁ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে টিপুরদী এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিট কারখানা। এর বিষাক্ত বর্জ্যে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হচ্ছে। এ কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই।
ফলে বিষাক্ত বর্জ্যে খালের পানিতে মিশে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ২০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৬ সালে সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় চৈতি কম্পোজিট লিমিটেড কারখানাটি সুতা উৎপাদন ও সুতা রং করার কাজ শুরু করে। কিন্তু এ কারখানাটির তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) না থাকায় উৎপাদিত সুতা তৈরি ও সুতা রং করার তরল বর্জ্য মারিখালি নদীর সংযোগ খালের পানিতে মিশছে। এলাকার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কারখানা থেকে ছেড়ে দেওয়া বর্জ্যে খালের পানিতে মিশে বিষাক্ত হয়ে মোগরাপাড়া, বাড়ি মজলিশ, গোহাট্রা, ফুলবাড়িয়া, ষোলপাড়া, দমদমা, কাবিলগঞ্জ, দলদার, লেবুছাড়া, ভাটিপাড়া, বিন্নিপাড়াসহ পৌর এলাকার মল্লিক পাড়া, টিপরদি, রতনদি, গোয়ালদিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত পানি ব্যবহার করে এলাকার মানুষের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও এলাকাবাসী কোনো ফলাফল পাননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৮ সালের ৪ মার্চ পরিবেশ দূষণের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও যৌথবাহিনী এ কারখানায় অভিযান চালিয়ে উৎপাদন বন্ধ ও সিলগালা করে দেয়। পরে মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় বন্ধ কারখানাটি আবার চালু করা হয়। ফলে এই এলাকায় কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত খালের পানি আবারও বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। এলাকার মানুষ পানিবাহিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কালখানাটি এলাকার মানুষের কাছে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।