রূপগঞ্জে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
মাহবুব আলম প্রিয়, রূপগঞ্জ
🕐 ৩:০৯ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২২
রূপগঞ্জে হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। যা আগের তুলনায় তিনগুন বেশি ।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, গত এক সপ্তাহে ১৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে জনবলের অভাবে তাদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব ভর্তি রোগীর মাঝে শিশু ও বয়স্কের সংখ্যাই বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংকটের কারণে বিপাকে পড়ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক লোক। এদিকে জরুরী অবস্থা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর‘বি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চালাচ্ছেন ডায়রিয়া বা কলেরার চিকিৎসা।
বুধবার উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক রোগী দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ (নার্স) শাহিনা আক্তার জানান, গত এক মাসে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ গুন। শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে ১৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে জনবলের অভাবে তাদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব ভর্তি রোগীর মাঝে শিশু ও বয়স্কের সংখ্যাই বেশি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মার্চ ও এপ্রিল মাসে যেখানে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়ার সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ৭৪ জন ও ৭৬ জন। সেখানে এপ্রিলে এ পর্যন্ত ওই সংখ্যা হয়ে যায় ১৭৪ জনে। অর্থাৎ এমন রোগী বাড়তে শুধুমাত্র এপ্রিলে এ সংখ্যা দাড়াবে ৩ গুনের অধিক। ইতোমধ্যে গত ১৪ দিনে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে ভর্তি সংখ্যা এখন ২৬২ জনে। তবে ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানা গেছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োজিত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নাজমুল আহমেদ বলেন, প্রতিবছরই এই মৌসুমে ডায়রিয়া রোগী বাড়ে। গত বছর কোভিডের লকডাউনের কারণে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক ছিল। “বছরের দুই সময়ে এই আউটব্রেকটা বেড়ে যায়। বর্ষার আগে যেটাকে আমরা প্রি-মনসুন পিরিয়ড বলি আর শীতের আগে। শীতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। আর বর্ষার আগে প্রাপ্তবয়স্করা। চৈত্রের শুরু থেকেই দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। গরমের মধ্যে পানির চাহিদা যখন বাড়ে, তখন দূষিত পানি থেকে পানিবাহিত এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
এদিকে এই রোগ গবেষণার প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) বিষয়টিকে গুরুত দেয়ায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরাও নিয়েছেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। আর প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে আধুনিক উপায়ে। ফলে আগের চেয়ে দ্রুত সুস্থ্যতার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।