ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নবাবী হারাচ্ছে বাকরখানি

মুজাহিদ বিল্লাহ
🕐 ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০২, ২০২০

নবাবী আমল শেষ হলেও প্রায় আড়াইশ বছর চলেছে বাকরখানির নবাবী। স্বাদ আর মানে বিশ্বজোড়া ছিল তার নামডাক। ঢাকার পুরান ঢাকার এই ঐতিহ্যবাহী খাবার মন কেড়েছিল সবার। তবে বর্তমানে তার জৌলুসে পড়েছে ভাটা।

স্থান দখল করে নিচ্ছে ফাস্টফুডের নিত্যনতুন খাবার। এদিকে দাম না পেয়ে আগ্রহ হারাচ্ছেন কারিগররা। বাকরখানি তৈরির পুরাতন পেশা বদল করে ফেলেছেন অনেকেই। আবার শিক্ষিত হয়ে কারগরদের বর্তমান প্রজন্ম এ পেশায় আসতে চাচ্ছেন না। ফলে হারাতে বসেছে নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর দত্তক ছেলে আগা বাকের আর নর্তকী খনি বেগমের করুণ প্রেমকাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নামকরণ করা এই বাকরখানির ঐতিহ্য। 

জানা যায়, এক সময় দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে বাকরখানি খেতে পছন্দ করতেন নবাবরা। পরে সেই খাবার পুরান ঢাকার মানুষের সকাল অথবা বিকালের নাশতায় সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সকালের নাশতায় বাকরখানির সঙ্গে চা হলে জমে উঠত সকালের আড্ডা।

পুরান ঢাকার নারিন্দা, লোহারপুল, গেন্ডারিয়া, নাজিরাবাজারসহ বিভিন্ন অলি-গলিতে এই খাবার পাওয়া যায়। আনিস নামের একজন বাকরখানি বিক্রেতা বলেন, আগের চেয়ে ব্যবসা অনেকটাই কম। তবে পর্যটকরা আগ্রহভরে কিনেন। স্থানীয়দের মধ্যে ধীরে ধীরে এই খাবারের ওপর আগ্রহ কমছে।’

আজিমপুরের আরেক বিক্রেতা জানান, নতুন সময়ে নানা ধরনের ফাস্টফুড আসায় ছোট ছোট ছেলেমেয়ে এর প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। বাকরখানি ক্রেতা আশিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘বাকরখানি খেতে ভালোই লাগে। তেল-ফ্যাটের সমস্যা নেই। সকালের নাশতায় বেশ উপযোগী ও স্বাস্থ্যকর।’

আগের মতো যেখানে সেখানে বাকরখানির দোকান দেখা যায় না কেন প্রশ্নের উত্তরে লালবাগের এক বাকরখানির কারিগর বলেন, ‘কারিগরের অভাব। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা শিখেছে। তারা এই পেশায় আসতে চায় না।’

 
Electronic Paper