ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঈদে মাংস খান পরিমিত

স্বাস্থ্য কুশল ডেস্ক
🕐 ১:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৮

গরুর মাংসে অনেক পুষ্টি থাকার পরও অতিরিক্ত খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। অতিরিক্ত গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর-কারণ গরুর মাংসে থাকে কোলেস্টেরল, ফ্যাট ও সোডিয়াম। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাদের অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অতিরিক্ত গরুর মাংস খান, তাদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
যে কোনো খাবার অতিরিক্ত খেলেই তা স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। তাই পরিমিতভাবে সঠিক পদ্ধতিতে গরুর মাংস খেলে নিজেকে অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে এবং এই স্বাদের খাবারটি থেকে ভবিষ্যতে কাউকে বঞ্চিত হতে হবে না।
মাংস খাওয়ার নিয়ম : ঈদের সময় তৈলাক্ত খাবারের পরিমাণ বেশি খাওয়া হয়। তাই খাবারে পর্যাপ্ত সালাদ ও সবজি রাখুন। এতে হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে।
যাদের রক্তে কোলেস্টরেল বেশি বা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ রয়েছে, তাদের জন্য মাংস রান্নার আগে চর্বি আলাদা করে নিন। রান্নায় সবজি মিশিয়ে তৈরি করুন নতুন খাবার। এতে অনাকাক্সিক্ষত ঝুঁকি কমে আসবে।
মোটাতাজা গরু রান্নার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিন। গরু মোটাতাজা করতে ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন ও ওষুধের কারণে ভালোভাবে সিদ্ধ না করলে পাকস্থলীতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
খাওয়ার পরিমাণ : পরিমিত সবকিছুই ভালো। খাদ্যাভাসে এটা মেনে চলা জরুরি। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টরেল ও কিডনি রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ মতো মাংস খেতে পারেন। তেল চর্বিযুক্ত মাংস না খাওয়াই ভালো। এতে বুকে ব্যথা ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
খাওয়ার পর : গরুর মাংস খাওয়ার পর অবশ্যই ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজবেন। নইলে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা মাংস পচে দুর্গন্ধ বের হতে পারে।
এ ছাড়াও দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাংস খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে এ সমস্যা কমে আসবে।
পরিপাক : হজম শক্তি বাড়াতে খাবারে শাকসবজি ও আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন। গরু, মহিষ, ছাগল ও খাসির মাংসে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ অনেক কম। এতে পরিপাকে সমস্যা হতে পারে। যাদের খাবার হজমে সমস্যা তারা খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সালাদ ও সবজি রাখতে পারেন।
মনে রাখবেন কোমল পানীয় খাবার হজমে কোনো ভূমিকা রাখে না। এ জন্য খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখুন। এ সময়ে খাবারজনিত কারণে পেটে গুড়গুড় করলে, প্রথমেই খাবার তালিকায় আঁশজাতীয় খাবার যুক্ত করুন। ডাবের পানি ও স্যালাইনসহ পর্যাপ্ত পানি পান করুন। বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 
Electronic Paper