ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কুমিল্লা প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২১

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কুমিল্লা শহরের সংরাইশে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের উপর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

নিহত সাব্বির হোসেন (২৮) ও সাজন (৩২) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার আসামি।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাতে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। এসময় দুইজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সাব্বির হোসেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় ৩ নম্বর আসামি। তার বাবার নাম রফিক মিয়া। বাড়ি সুজানগর পানির ট্যাঙ্কির পাশে। আর নিহত সাজন একই মামলার ৫ নম্বর আসামি। তার বাবার নাম কাকন মিয়া। সংরাইশ রহিম ডাক্তারের গলিতে তার বাড়ি।

জানা গেছে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাত ১টা ৩৩ মিনিটে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নুরুল আলম দুইজন আহত যুবককে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে তথ্য জানতে চাইলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কামরুল মিল্লাত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, হাসপাতালের পরিচালক সকালে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।

সোমবার দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ রায়ের হত্যা মামলার এজহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সংরাইশ এবং নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে। সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

রাত আনুমানিক ১২টা ৪৫ মিনিটে কোতোয়ালি থানার বালুমহল সংলগ্ন সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের নিকটে ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।

একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসিদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল তল্লাশি করে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়।

 
Electronic Paper