কষ্টিপাথর বাগিয়ে নিতেই খুন করা হয় ইয়াছিনকে: পুলিশ
ফেনী প্রতিনিধি
🕐 ৪:০২ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১
কথিত কষ্টিপাথর বাগিয়ে নেয়া ও পেশাগত কাজের কর্তৃত্ব নিয়েই খুন করা হয় ফেনীর পরশুরাম এলাকার রাজমিস্ত্রি মো. ইয়াছিনকে। সোমবার (১০ মে) দুপুরের দিকে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান। এর আগে রবিবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলার নং-২১৫-১২-এস এর ৫০ গজ অভ্যন্তরে মাটির নিচ থেকে বিজিবি-বিএসএফ’র সহযোগিতায় ইয়াছিনের লাশ উদ্ধার করে আইনশৃংখলা বাহিনী। নিহত ইয়াছিন পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া এলাকার হাসান আহমেদের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিন থেকে কষ্টিপাথর ও পেশাগত কিছু বিষয় নিয়ে ইয়াছিনের সাথে পরশুরাম উপজেলার মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. সেলিমের (৩৩) বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে ১৩ এপ্রিল শাহনাজ নামের এক মহিলাকে দিয়ে ফেনী শহরের বনানী পাড়ায় একটি বাসায় ডেকে এনে ৫/৬ জনে মিলে তাকে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য সিএনজি চালক জামালকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলার নং-২১৫-১২-এস এর ৫০ গজ অভ্যন্তরে মাটি চাপা দেয়া হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করার পর বিষয়টি ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে আটক করলে ঘটনার জট খুলতে থাকে। একপর্যায়ে তার দেখানো মতে সীমান্ত এলাকা থেকে রবিবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইয়াছিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ইয়াছিনের ভাই রবিবার পরশুরাম মডেল থানায় বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি সেলিমসহ এমাম হোসেন, মোশাররফ হোসেন, কুসুম, শাহনাজ ও সিএনজি চালক জামালের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে ইয়াছিন একটি কষ্টিপাথর পেয়েছে। ওই কষ্টিপাথর বিক্রির জন্য সে সেলিমের সহযোগিতা চায় এবং কিছু টাকা সেলিমকেও দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। গত কিছুদিন যাবত ইয়াছিন কষ্টিপাথর নিয়ে সেলিমকে কোনো কিছু জানায়নি। একপর্যায়ে সেলিম ইয়াছিনের কাছে কষ্টিপাথর অথবা কষ্টিপাথরের টাকার ভাগ চাইলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শাহনাজকে দিয়ে প্রেমের অভিনয় করে ইয়াছিনকে ফেনীতে এনে হত্যা করা হয়।