হাতিয়ায় মেম্বার প্রার্থী হত্যা, ৫৫ জনকে আসামি করে মামলা
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ০৯, ২০২১
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার প্রার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বাদী হয়ে মামলাটি করেন নিহত মেম্বার প্রার্থী জোবায়েরের ছেলে মেহেদী হাসান জীবন।
মামলায় সোনাদিয়া ইউনিয়নেন ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল বাতেনকে প্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে ২নং করে ৫৫ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। হাতিয়া থানা মামলা নং ১০।
গত শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙ্গা বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় জোবায়ের হোসেন (৪৫) নামে এক মেম্বার প্রার্থী নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন। নিহত জোবায়ের সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। সে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী ছিল।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জোবায়েরকে জেলা সদর থেকে এনে শনিবার বিকালে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাঁর জানাজায় হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র কে এম ওবায়েদ উল্যাহসহ প্রায় ৫ সহস্রাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের ছেলে জীবন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন সকালে তাঁর বাবা চরচেঙ্গা বাজারে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিল। এ সময় উত্তর দিক থেকে বাতেন মেম্বার নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে তাঁর বাবাকে আক্রমণ করে প্রথমে গুলি করে পরে পায়ের রগ কেটে দিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা সবাই বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সমর্থক। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনিসহ আরও তিনজন আহত হয় বলে জানান জীবন।
জীবন আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁর পিতা জোবায়ের মেম্বার প্রার্থী হলেও সে ছিল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মেহেদী হাসানের একনিষ্ঠ সমর্থক। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মাঠ দখলের চেষ্ঠা অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে নির্বাচনের প্রথম থেকে তাঁর বাবার বিরোধ চলে আসছে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল খায়ের বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।