মাতামুহুরীতে বালু উত্তোলন: অভিযানে ৪ মেশিন ধ্বংস ও পাইপ জব্দ
এম. মনছুর আলম, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ১২:১১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২১
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে মাতামুহুরী নদী থেকে সেলোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে নদীতে ভাসমান বেইজের উপর স্থাপিত ৪টি সেলোমেশিন পুড়িয়ে ধ্বংস করে ১ হাজার মিটার পাইপ ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর দিগরপানখালী বালু পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ দিগরপানখালী এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে সোমবার দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত চারটি সেলোমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেন। এ সময় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত মেশিনগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতিত আইন লঙ্ঘন করে নদী থেকে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দফা অভিযানও চালানো হয়। এছাড়াও বালু উত্তোলনকারীদের প্রশাসন থেকে তাগাদা দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির লকডাউনের সময় প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে সেলোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হাওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্ট থেকে ভাসমান বেইজের ওপরে বসানো ৪টি মেশিন, ১ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত মেশিনগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এছাড়া উত্তোলনকৃত প্রায় ৩০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে রাখা হয়েছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।