হারবাংয়ে বাড়ি দখলে নিতে ভুয়া কাগজে মিটার স্থাপন
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৯:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ০২, ২০২১
কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ায় কাঞ্চন সম্রাট বিপ্লব নাথ জয় নামের এক ব্যক্তির জায়গা দখলের নেওয়ার জন্য ঘঁষামাজাকৃত ভুয়া খতিয়ান ও কাগজপত্র দিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে মিটার বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যুৎ সংযোগের সেই মিটার ভুক্তভোগী কাঞ্চন সম্রাট বিপ্লব নাথ জয় বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্থাপন করে বাড়িটি জবর-দখলের চেষ্টা চালায় একই পাড়ার মৃত রজনী বড়ুয়ার ছেলে সুনীল বড়ুয়া নামের অপর এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় জায়গাসহ বাড়ির প্রকৃত মালিক বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম বরাবরে আপত্তি দাখিল করলে তদন্তে নামে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। তদন্তে প্রমাণিত হয় সুনীল বড়ুয়ার নামে বরাদ্দকৃত বৈদ্যুতিক সংযোগের মিটারটির বিপরীতে দেওয়া খতিয়ানসহ কাগজপত্রগুলো ভুয়া। এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারী বিকেলে চকরিয়া জোনাল অফিসের ওয়ারিং পরিদর্শক গোপাল দাশ ও সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মচারী গিয়ে সুনীল বড়ুয়ার নামে লাগানো মিটারটি খুলে নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চকরিয়া জোনাল অফিসের ওয়ারিং পরিদর্শক গোপাল দাশ।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সুনীল বড়ুয়া নামের এক ব্যক্তি বিদ্যুৎ সংযোগসহ মিটারের আবেদন করেন। পরবর্তীতে সেই মিটার লাগিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু হারবাং বড়ুয়া পাড়ার সুনীল কান্তি নাথের পুত্র কাঞ্চন সম্রাট বিপ্লব নাথ জয় নামের ভুক্তভোগী ব্যক্তি সেই মিটারের বিষয়ে লিখিত আপত্তি জানালে তদন্ত করা হয়। তদন্তে সুনীল বড়ুয়ার দাখিলকৃত কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার অপসারণ করা হয় গত বৃহস্পতিবার।’
ভুক্তভোগী কাঞ্চন সম্রাট বিপ্লব নাথ জয় অভিযোগ করেছেন, আমার ক্রয়কৃত জায়গাসহ বাড়িটি দখলের নেওয়ার জন্য প্রতারক সুনীল বড়ুয়া ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে তার নামে বিদ্যুৎ সংযোগসহ মিটার বরাদ্দ নেন। কিন্তু ব্যবসায়ীক কারণে চট্টগ্রামে থাকার সুযোগে সেই মিটার আমার বাড়িতে স্থাপন করে। এমনকি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে সুনীল বড়ুয়া নিজেই রাতের আঁধারে মিটার ভেঙে আমার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় জিডি করেন। সেই জিডির পর পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে এসে জানতে পারেন আসল বিষয়। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।