মিরসরাইয়ে মৎস্য প্রকল্প দখলে অস্ত্রের মহড়া
ইকবাল হোসেন জীবন, মিরসরাই
🕐 ১২:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা গ্রামে একটি মৎস্য প্রকল্প দখল করার জন্য অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, স্থানীয় মোবারকঘোনা এগ্রো কমপ্লেক্স সমিতি ২০০১ সালে ৩৯ একর জমির উপর মক্কা মৎস্য প্রকল্প খনন করে। প্রতি তিন বছর পর পর প্রকল্পটি সমিতি থেকে ইজারা দেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আগামী তিন বছরের জন্য সমিতি থেকে স্থানীয় মেসকাত হোসেন ১ কোটি ১৮ লাখ দিয়ে প্রকল্পটি ইজারা নেন। ইজারা নেওয়ার পর প্রকল্পে সংস্কার করার জন্য রোববার সকালে প্রায় ৩০জন শ্রমিক নিয়োগ করে মেশকাত হোসেন।
এ সময় ধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুজ্জামান রিপন, সেলিম উদ্দিন, নুরুল হক, রিপন, আরিফুল ইসলাম রাজু, ইকবাল হোসেন রানা, শেখ জাহেদ এবং নোমানের নেতৃত্বে শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকদের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যেতে বাধ্য করে। প্রকল্পে তাদের নিজেদের জমি আছে এবং সমিতিতে তাদের সহ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে মোবারকঘোনা এগ্রো কমপ্লেক্স সমিতির সভাপতি ও ধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন ইরান বলেন, আমরা ২০০১ সালে ২৩৫ জন সদস্য নিয়ে মোবারকঘোনা এগ্রো কমপ্লেক্স সমিতি করি। পরবর্তীতে সমিতির সদস্যদের জমি ও শেয়ার বিক্রি করে ৩৯ একর জমির উপর মক্কা মৎস্য প্রকল্প চালু করি। প্রকল্প নিয়ে গত ২০ বছর স্থানীয় কারো অভিযোগ না থাকলেও হঠাৎ করে রোববার সকালে ধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুজ্জামান রিপন নেতৃত্বে শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা প্রকল্পে সমিতির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এ ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় মোবারকঘোনা এগ্রো কমপ্লেক্স সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, আমরা সম্পূর্ণ বৈধভাবে সমিতির মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিচালনা করছি। সমিতির স্বচ্ছতার জন্য আমরা একটি ইজারা কমিটি গঠন করেছি। যেখানে কাস্টমস কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক হিসেবে ও রেজাউল করিম সদস্য সচিব এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে ধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুজ্জামান রিপন বলেন, মক্কা মৎস্য প্রকল্পে আমাদের এলাকার অনেকের জমি আছে। ভূমিদস্যুরা ২০০১ সালে প্রকল্পটি দখল করে। গত ২০ বছর তারা অবৈধভাবে দখল করে আছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, মৎস্য প্রকল্প দখল নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।