ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খরচের তিনগুণ আদায়ের পরও টোল বন্ধ হয়নি

মাছুম তালুকদার, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
🕐 ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

দীর্ঘ ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-বেগমগঞ্জ সড়কের চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত চাঁদপুর সেতুর টোল আদায়। সেতুটির টোল বন্ধ না করায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

২০০৪-০৫ অর্থবছরে ১৮ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৪৮ মি দৈর্ঘ্যরে চাঁদপুর সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০০৫ সালের মার্চ থেকে সেতুর ওপর দিয়ে পারাপারকারী যানবাহন হতে ইজারার মাধ্যমে টোল আদায় শুরু হয়। ১ মার্চ ২০০৫  থেকে ৩১ মে ২০১৮ পর্যন্ত ২৯ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
সেতুতে ট্রেলর ২৫০, হেভি ট্রাক ১৭০, মিডিয়াম ট্রাক ১০০, বড় বাস ৯০, মিনি ট্রাক ৭৫, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ৬০, মিনিবাস ৫০, মাইক্রোবাস ৪০, ফোর হুইলবাহিত যানবাহন ৪০, সিডান কার ২৫, ৩-৪ চাকার মোটরবাইক যান থেকে ১০ টাকা হারে আদায় করা হয়।
ফরিদগঞ্জের চড়বড়ালী গ্র্রামের রিপন, বাগাদী এলাকার গোলাম সরোয়ার, এমরান হোসেনসহ আরও অনেকেই বলেন, মানুষের মঙ্গলের জন্য সরকার এ সেতু নির্মাণ করলেও আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সরকার জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে অন্তত এ সেতুর টোল বন্ধ করা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অপরদিকে মুছলেহ উদ্দীন, রাশেদ গাজী, ছোবহান মিজিসহ একাধিক চালক বলেন, একটা অটোতে যাত্রী উঠুক আর না উঠুক, প্রতিবার ১০ টাকা করে দিয়ে যেতে হয়। টোলঘর অতিক্রম করলেই টাকা না দিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না।
সেতুটির টোল বন্ধের জন্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া এমপি ও সাবেক এমপি লায়ন হারুন-অর রশিদ জাতীয় সংসদে বক্তব্য উপস্থান করেন। এছাড়া ডা. দীপু মনি এমপি সেতুর টোল বন্ধের পক্ষে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত এ প্রতিনিধিকে বলেন ‘সরকার চাইলে জনদাবির প্রেক্ষিতে যেকোনো মুহূর্তে এ সেতুর টোল প্রত্যাহার করতে পারে। ইতোমধ্যে জেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে টোল মওকুফের আবেদন করা হয়েছে’।

 
Electronic Paper