সোনাইমুড়ীতে নিখোঁজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার, আটক ২
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
🕐 ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২০
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে নিখোঁজের একদিন পর শাহাদাত হোসেন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় নিহতের মায়ের দায়ের করা মামলায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ২৭ নভেম্বর, শুক্রবার ভোরে সোনাইমুড়ী পৌর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। নিহত শাহাদাত হোসেন কাঁঠালী এলাকার মীর হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার নাওতলা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে রিয়াদ উদ্দিন (২৪) ও পৌর এলাকার পূর্ব পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন যুবরাজ (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর, বুধবার সকাল ৯টার দিকে পৌর শহরের কাঁঠালী এলাকার চা দোকানি মীর হোসেনের ছেলে শাহাদাত নিখোঁজ হয়। সারাদিন বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করে কোথাও শাহাদাতের সন্ধান পায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কাঁঠালী এলাকার কাদের মাস্টার বাড়ির পুকুরে মধ্যে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ এসে লাশটি
উদ্ধার করলে মীর হোসেন ও রোকসানা বেগম তাদের ছেলে শাহাদাতের লাশ সনাক্ত করেন।
নিহতের মা রোকসানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকালে সুমন ও তার বন্ধু পার্শ্ববর্তী নাওতলা গ্রামের রিয়াজ আমার ছেলে শাহাদাতকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা শাহাদাতের কোন খবর না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাফেজ আবু বকর সিদ্দিক দুলালকে অবগত করি। বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। উপস্থিত লোকজন শাহাদাত কোথায় জানতে চাইলে সুমন উত্তেজিত হয়ে সবার ওপর ছড়াও হয়। কিছুক্ষণ পর সুমনের বন্ধু তানভীর লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে সুমনকে নিয়ে চলে যায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সুমন প্রায় সময় বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে মাদক সেবন করতো। মঙ্গলবার রাতেও সে কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িতে এসে মাদক সেবন করে। সুমনের এসব কর্মকান্ড শাহাদাত জেনে ফেলায় তাকে হত্যা করেছে সুমন ও তার সহযোগিরা।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ছাড়া মামলায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।