ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সেবা পাবে ২৬ হাজার মানুষ

ইকবাল হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)
🕐 ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০

মীরসরাই পৌর সদরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ১০ শয্যার পৌর সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। হাসপাতালটি চালু হলে চিকিৎসা সেবা পাবে পৌর এলাকার প্রায় ২৬ হাজার জনগণ। এরই মধ্যে চার কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনসহ অধিকাংশ স্থাপনা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। স্থাপনা বুঝিয়ে দেওয়ার পর লোকবল নিয়োগ শুরু হবে।

হাসপাতাল নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, তারা চার কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটির নির্মাণকাজ পেয়েছিলেন। দুই মাস আগে দোতলা হাসপাতাল ভবন, দোতলা আবাসিক ভবন, নিরাপত্তা ফটক, সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই স্বাস্থ্য বিভাগকে নতুন ভবন বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনসহ স্থাপনাগুলো এখনো স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়নি। বুঝিয়ে দেওয়ার পর লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ওই ভবনের নিচতলায় আগের মতো ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন সহকারী স্থানীয়দের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু হওয়ার পরও তা চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পৌরবাসীর মা ও শিশুর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পৌর সদরে একটি হাসপাতালে দাবি জানিয়ে আসছিল পৌরবাসী। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন পৌর সদরে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। পৌর সদরে ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মেয়র তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করলেন।

১৯৮০ সালে মীরসরাই সদর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র। ওই কেন্দ্রে সদর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসেবা নিতেন। ২০০০ সালে সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠন করা হয় মীরসরাই পৌরসভা। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটিও পৌরসভা অংশে পড়ে যায়। এরপর ডাক্তার সংকট, ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র না থাকায় কিছুদিন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের কার্যক্রম স্থবির হয়ে থাকার কারণে একটি চক্র কেন্দ্রটির সরকারি জায়গা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জায়গাগুলো রক্ষা করে।
তিনি জানান, মীরসরাই পৌরসভায় ভাসমান লোকসহ প্রায় ২৬ হাজার লোকের বসবাস।

 

 
Electronic Paper