পুকুরে পৌরসভার আবর্জনা
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ২:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২০
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর এলাকার খাল পাড়ের পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে খোদ পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আশির দশকে বারইয়ারহাট-মহিপাল সংযোগ সড়ক চালু করার সময় মহাসড়ক তৈরিতে সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় চার একর খাল পাড়ের দিঘী খনন করা হয়।
যা বারইয়ারহাট পৌরসভার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং বিভিন্ন দুর্যোগ দুঃসময়ে উক্ত পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো। ইতোপূর্বে বারইয়ারহাট ডিগ্রি কলেজের আওতায় পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু গত ১৪২৭ বাংলা সন থেকে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র মৌখিকভাবে মাছ চাষের কথা বলে পুকুরটি ইজারা নেন। কিন্তু সেখানে মাছ চাষ না করে পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এতে পুকুরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন বলেন, এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগের পুকুর, পৌরসভার ময়লা-আর্বজনা ফেলানোর কোনো জায়গা না থাকায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তাদের সুবিধার্থে তারা ওই পুকুরে ময়লা আর্বজনা ফেলছে।
সম্প্রতি বারইয়ারহাট বাজারে রাতে চয়েস বাস স্টপিজ মার্কেটের পাশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসলেও পানি না পাওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। যদিওবা পার্শ্ববর্তী প্রায় চার একরের খাল পাড়ের পুকুরটি ছিল। কিন্তু ময়লা আর্বজনা জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি নেওয়ার জন্য পুকুরে নামতে পারেননি।
এ ব্যাপারে বাইয়ারহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনর মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে পুকুরটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। যা ভূমি মন্ত্রণালয় ও সড়ক ও জনপথ লিখিতভাবে লিজ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ আবেদন করে। কলেজ গর্ভনিং বোর্ডের সাবেক সভাপতি, মিজানুর রহমান ইতোপূর্বে এক লাখ টাকা পুকুর ইজারা নিয়ে কলেজ ফান্ডে জমা দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আমি সরেজমিন গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, জলাশয় ভরাটের এখতিয়ার কারও নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে সওজ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।