ঢাকায় এসে লাশ হন চট্টগ্রামের মেহেদী
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২০
ঢাকার হাতিরঝিলের রামপুরা অংশের লেক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার পরিচয় জানা গেছে। নিহতের নাম আজিজুল ইসলাম মেহেদী (২৪)। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মেহেদী চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামের ফখরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের পরিবার দাবি করছে, মেহেদী লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিচিতদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার কাজ করত। সে কাজেই সে ঢাকায় এসেছিল। হয়তো পাসপোর্ট দালাল চক্রেরই কেউ কোনো কারণে তাকে খুন করেছে।
গত সোমবার হাতিরঝিল থেকে মেহেদীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ঢামেকে গিয়ে মেহেদীর মরদেহ শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়।
মেহেদীর পরিবার জানায়, গত শনিবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে পাসপোর্ট তৈরির কাজের কথা বলে ঢাকায় আসে মেহেদী। বনশ্রী এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠে। রোববার ভোরে বন্ধুর বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, এরপর থেকেই মেহেদীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ ছিল। সোমবার পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানা যায়। গতকাল ঢামেকের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
মেহেদীর খালাতো ভাই মো. শাকিল খোলা কাগজকে বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিচিত লোকজনদের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার কাজ করত সে। পরিচিত কারও পাসপোর্টে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ করে ঠিক করে দিত। পাসপোর্টের কাজেই সে গত শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিল।
তিনি আরও বলেন, রোববার সকাল থেকে আমরা মেহেদীকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। এরপর ঢামেকে এসে মর্গে তার লাশ পেলাম। পুলিশ বলছে, শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মেহেদীর কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। আমাদের ধারণা, সে পাসপোর্ট করাতে এসে দালালের খপ্পরে পড়েছে। কোনো কারণে দালালরা তাকে খুন করেছে। আমরা হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছি। এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল বিভাগের উপ-কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক বলেন, কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এ যুবককে হত্যা করল, সেটি আমরা তদন্ত করছি। বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি, আশা করি দ্রুতই আমরা এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারব।