ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: গ্রেফতার আরও ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৭, ২০২০

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় সোহাগ ও নুর হোসেন নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনকে আদালতে সোর্পদ করলে আদালত পৃথকভাবে তাদের রিমান্ড মন্জুর করেন।

জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসপি আলমগীর হোসেন জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ টিমের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় অন্য আসামিদেরকেও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ৪নং আসামি সাজু ও বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাসপুর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত রোববার রাতে মামলার ১নং আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে ও স্থানীয় দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাএব-১১।

আটক বাদল (২২) একলাসপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যম একলাসপুর গ্রামের মোহর আলী মুন্সীবাড়ির রহমত উল্যার ছেলে, দেলোয়ার একই গ্রামের কামাল উদ্দিন বেপারিবাড়ির সাইদুল হকের ছেলে।

এ ছাড়া একলাসপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়াবাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সীবাড়ির মৃত আবদুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে (৪১) গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাসপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা।

এর পর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। সেটি ছড়িয়ে দেয় ইন্টারনেটে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

রোববার রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিত গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে মামলা করেন।

 
Electronic Paper