ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়
আখাউড়ার ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুন মিয়া বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদনটি দাখিলের জন্য আদালত আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান, এসআই হুমায়ুন, এএসআই খোরশেদ ও কনস্টেবল প্রশান্ত এবং সৈকত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আখাউড়ার পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম (চিকুনী বেগম) ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার সঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা একযোগে মিলিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। হারুন প্রতিবেশী চিকুনীর মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে চিকুনী ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের হারুনের পেছনে লেলিয়ে দেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মে গভীর রাতে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য নাটকীয়ভাবে চিকুনী বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে তার প্ররোচনায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হারুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ সময় ক্রসফায়ার ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা বলপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও তারা ঘরের আসবাবপত্র ওলট-পালট করে নাজেহাল অবস্থা সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে ওইদিনই ভোর ৪টার দিকে পুনরায় পুলিশ সদস্যরা এসে হারুন তার স্ত্রীকে মিথ্যা মাদক মামলা ও যাবজ্জীবন কারাদ-ের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে এক লাখ টাকা দাবি করে। তা না হলে তাদেরকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। ওই সময় তারা প্রাণ রক্ষায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা করলে হারুন ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়। চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন অফিসারদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় পাঁচ পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে মামলার বাদী হারুন মিয়া বলেন, অভিযুক্তরা আমাকে বিভিন্ন সময় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ধাপে ধাপে টাকা নিয়েছে। তাদের কারণে আজকে আমি বাড়িছাড়া। ন্যায়বিচারের আশায় আদালতে অভিযোগ দিয়েছি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি।