ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চমেক হাসপাতালে প্লাজমা ভাইরাস স্টেরিলাইজার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২০

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউ ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেবে প্লাজমা ভাইরাস স্টেরিলাইজার এয়ার ক্লিনার। গতকাল বৃহস্পতিবার এই এয়ার ক্লিনার বসানো হয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ুন কবিরের কাছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম কলেজ ৮৫ ব্যাচের ছাত্ররা। এয়ার ক্লিনার ছাড়াও করোনা রোগীদের জন্য তিনটি হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা, চারটি সিরিঞ্জ পাম্প, ইসিজি মেশিনসহ নানা সরঞ্জাম দেওয়া হয়।

আমেরিকা অবস্থান করা চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ৮৫ ব্যাচের সমম্বয়কারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাবীব উল্লাহ জানান, প্লাজমা স্টেরিলাইজার করোনাভাইরাস ধ্বংস করার একটি মেশিন। চমেক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউ চিকিৎসকদের জন্য এটি পাঠানো হয়েছে। এয়ার মেশিনটি হেপা ফিল্টার আর কার্বন ফিল্টারের মাধ্যমে জীবাণু সরিয়ে ফেলে। শেষ ধাপে প্লাজমা কেমিক্যাল জারনের মাধ্যমে করোনা জীবাণুকে পুরোপুরি ধ্বংস করে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেবে বলে জানান তিনি।

চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক হারুন অর রশিদ জানান, চট্টগ্রাম কলেজ ৮৫ ব্যাচের বন্ধুদের এ উদ্যোগ দেখে অন্যরা নিঃসন্দেহে উৎসাহিত হবে। করোনা একটি মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগ। চিকিৎসকরা প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। প্লাজমা ভাইরাস স্টেরিলাইজারের কল্যাণে চিকিৎসকরা নির্ভয়ে মুমূর্ষু রোগীদের সেবা দিতে পারবেন।

আমেরিকা প্রবাসী ৮৫ ব্যাচের সদস্য সরোয়ার কামাল জানান, কঠিন এ সময়ে দেশের চিকিৎসক ও রোগীদের জন্য চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছি। চীন ও কোরিয়া থেকে আনা এই যন্ত্রপাতিগুলো ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টমসে আটকে দেওয়া হয়। চীন থেকে আসার কারণে বিপজ্জনক বস্তু ঘোষণা করায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

কাস্টমস, ভ্যাটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশি ফি গুনতে গিয়ে জামেলা পোহাতে হয়েছে। চিকিৎসাসামগ্রী গ্রিন চ্যানেলে আমদানি ও সহজ পদ্ধতি বের করার দাবি জানান তিনি।

চমেক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক তনুজা তানজিন জানান, আমাদের চট্টগ্রাম কলেজ ৮৫ ব্যাচের বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক সাবরিনা ইসলাম সুইটি করোনা আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলার অভাবে মারা যান। চট্টগ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থার করুণ অবস্থার কথা চিন্তা করে ৮৫ ব্যাচের বন্ধুরা সবাই মিলে এ উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে আমাদের বন্ধু সুইটির মতো আর কেউ অকালে ঝরে না পড়ে।

এই যন্ত্রপাতিগুলো হস্তান্তরের সময় আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রঞ্জন কুমার নাথ কাজল, ৮৫ ব্যাচের সদস্য অধ্যাপিকা জেসমিন আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ এ সারওয়ার, সহকারী অধ্যাপক ডা. বর্ণালী বড়ুয়া, অধ্যাপক সুমন বিশ্বাস, কাফকোর ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মনজুর জাহেদ খোকা, অধ্যাপক একেএম শামসুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

 

 
Electronic Paper