ঝুঁঁকি নিয়ে হাজারো শ্রমিক কেইপিজেডে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৭, ২০২০
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে অবস্থিত কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (কেইপিজেড) কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় ঝুঁঁকি নিয়ে গত রোববার কারখানায় যায় হাজারো শ্রমিক। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী গত রোববার থেকে কেইপিজেডের ২১ কারখানা যথারীতি চালু করা হয়েছে।
তবে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের যথাযথ সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা কাজ চালিয়ে যাবে। তবে বিভিন্ন পরিবহনে যেভাবে গাদাগাদি করে শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাচ্ছে তা মোটেও নিরাপদ নয়। তাতে যে কোন মুহুর্তে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসগুলো ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতির অনুরোধের পর অনেকের ধারণা ছিল কেইপিজেডও তাদের খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি।
কেইপিজেডের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, বিজিএমইএ সভাপতির অনুরোধ এসেছে রাত ১০ টার পর। কেইপিজেড মূলত কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে ঘোষণা আসতে আসতে কোরিয়ায় তখন মধ্যরাত। যে কারণে সেখানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একই কারণে ছুটি বাড়ানো হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়াও সম্ভব হয়নি। তাই গত রোববার যথারীতি কারখানা খোলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অফিস সময়সূচিতে কোরিয়ায় কেইপিজেড পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছুটি বাড়ানো হবে কিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তাদের সব কারখানায় সামাজিক দূরত্ব ও শ্রমিকদের সুরক্ষা মেনে কাজ হবে বলে জানান তিনি।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনার ঝুঁঁকি এড়াতে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কর্ণফুলী ইউএনও নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনার ঝুঁঁকি এড়াতে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সতর্কতায় গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ। কেইপিজেডের আওতাধীন ২১ কারখানার ২৫ হাজার শ্রমিক-কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছে।