মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ০৫, ২০২০
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যটন নগরী টেকনাফে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে যাচ্ছেন।
এমন করুন ক্রান্তিলগ্নে দেশে অঘোষিত লকডাউন চললেও সাধারণ মানুষকে কোনভাবেই ঘরে রাখা যাচ্ছে না। খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি অন্যদেরও ঘরে রাখাই যেন দায় হয়ে উঠেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে এবং বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে বলা হলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও গ্রামের অলিতে-গলিতে শত শত মানুষ দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিপুল সংখ্যক রিকশা চলছে রাস্তায়। সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট যৌথ বাহিনীর টহল আসতে দেখলে সবাই ভয় নির্জনে চলে গেলেও দুই চোখের আড়াল হলে ফের আড্ডায় মেতে ওঠে গ্রামের যুবক-তরুণদের আসর।
এদিকে, করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা পালনের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হচ্ছে। টিভি ও সংবাদপত্রে প্রচারণা চলছে। প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসনও। কিন্তু এত কিছুর পরেও কোনো ভাবেই মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। আর এই ঘোরাঘুরি করা মানুষকে ঘরে রাখাটাই ক্রমে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুরো টেকনাফ উপজেলা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ও জনসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম টেকনাফ উপজেলার সব মসজিদের ইমামগণদের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক জানিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেক নামাযের পূর্বে এবং পরে মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষাসহ মুসল্লীদের সাবান পানি দিয়ে হাত ধোঁয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জনগণকে নিরাপদ ও সুরক্ষা নিশ্চিত প্রসঙ্গে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
অপরদিকে, টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্লসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।