ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খাগড়াছড়িতে অজ্ঞাত রোগে আরো ১২ শিশু আক্রান্ত

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 
🕐 ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছেন। এরই মাঝে দীঘিনালায় অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত আরও ১২ শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকলেও বাকিদের হাম রোগের লক্ষণ রয়েছে। গত সোমবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আক্রান্ত সবাই দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের দূর্গম রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা। আগে থেকে ৯ জন শিশু সেখানে চিকিৎসাধীন ছিল। এই নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে মোট ২১ শিশু। তাদের বয়স ১০ বছরের নিচে।

গত বেশ কয়েকদিন ধরে দীঘিনালার দূর্গম রথী চন্দ্র কার্বারী পাড়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি পাড়ার শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাদের জ্বর ও শরীরে লাল লাল দাগ হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন ডা. আহসান হাবিব নোমান জানান, সোমবার সকাল থেকে দূর্গম রথিচন্দ্র কার্বারিপাড়া ও আশপাশের এলাকা থেকে আক্রান্ত শিশুদের গাড়িতে করে দীঘিনালা হাসপাতালে এনে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের মূলত হামের নানা ধরণের লক্ষণ রয়েছে। সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের পক্ষ থেকে রোগী ও তাদের স্বজনদের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী মেডিক্যাল অফিসার মো. রাশেদুল আলম বলেন, ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে তিনজনের ঠান্ডাজনিত সমস্যা রয়েছে। বাকিদের হামের লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষা ছাড়া তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। আমরা তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।

এর আগে গত রোববার হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়ার শিশু ধনিতা ত্রিপুরা (৯)। ওইদিন দুপুরে মুমূর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পান্তই ত্রিপুরা (৯) নামে এক শিশুকে ভর্তি করা হয়।

এদিকে জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অজ্ঞাত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান, ইউনিয়নের নবকুমার কার্বারিপাড়া, শ্যামবাড়িপাড়া, আলমনিপাড়া, রবিধন পাড়া, সুধন্যকার্বারি পাড়া, ভেজাচন্দ্র কার্বারিপাড়ায় অর্ধশতাধিক শিশু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

তাদের অনেকেরই জ¦র, কাশি ও শরীরে লাল লাল দাগ দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে দুটি মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা প্রায় ৮৭ জন শিশুর চিকিৎসা দিয়েছেন।

এরমধ্যে শুধুমাত্র ২/৩জন শিশুর মধ্যে হামের লক্ষণ ধরা পড়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসায় সেরে উঠছে। মূলত অপুষ্টির কারণে শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয়রা কুসংস্কার ও হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে অনীহা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

 
Electronic Paper