নোয়াখালী শহর যেন ময়লার ভাগাড়
ইকবাল হোসেন সুমন, নোয়াখালী
🕐 ৩:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
নোয়াখালী জেলা শহরে যত্রতত্রভাবে গত ১৩ দিন ধরে ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। সড়কের দুপাশে, বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, হাট বাজার ও অফিস আদালতের সামনে দিনের পর দিন পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে জনদুর্ভোগের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর সভার মেয়র একে অপরকে দুষছেন।
নোয়াখালী পৌসভার বাসিন্দা শাহীন জানান, গত কয়েকদিন ধরে যত্রতত্র ভাবে ময়লা আবর্জনা রাস্তার দু’পাশে ফেলে রাখার কারণে দুগর্ন্ধে এলাকায় বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এর থেকে দ্রুত প্রতিকার চান তিনি। একই কথা বলেন, নোয়াখালী পৌরসভার বাসিন্দা হেলনা জাকের। নোয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানান, পৌর এলাকার আইউবপুরে দীর্ঘদিন থেকে শহরের ময়লা নিয়ে রাখা হয়ে আসছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে আবর্জনার গাড়ি সেখানে যাচ্ছে না।
নোয়াখালী পৌরসভার মেডিকেল অফিসার প্রণয় কুমার দেব নাথ জানান, এভাবে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলে বায়ুবাহিত রোগ বালাইগুলো বেড়ে যাবে।
শ্বাসকষ্ট বাড়বে, ডায়রিয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে হাসপাতালের বর্জ্য পড়ে থাকার কারণে এমন এমন রোগ দেখা দিতে পারে যার বিরুদ্ধে কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খান জানান, গত ১৭ বছর থেকে আইউবপুরে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং করা হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে সেখানে ময়লার গাড়ি গেলে স্থানীয় এমপি কথা বলে বাধা দেয় এবং পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মারধর করে।
সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী জানান, চিকিৎসার জন্য তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে আসার পর জানতে পারলেন যেখানে ময়লা ফেলা হতো ওই এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে ডাম্পিংয়ে বাধা দেয়। এরপরও মেয়রকে আগামী দুই তিন মাস সময় দেওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান- মেম্বারদের অনুরোধ করেছেন।