ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শেষ হচ্ছে না কলাতলীর চার লেন সড়কের কাজ

মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন, কক্সবাজার
🕐 ১০:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০

কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় চার লেন সড়কের কাজ দ্রুতগতিতে চললেও কাজের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো। আগামী জুন মাসের মধ্যে ব্যস্ততম এলাকা কলাতলীর প্রধান সড়কের কাজ বুঝিয়ে দিতে চাইলেও পারবে না বলে মনে করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা ও ঠিকাদাররা। তবে পিডিবি বলেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ জায়গা দেখিয়ে না দেওয়ায় খুঁটি স্থানান্তরের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা আর পর্যটকরাও নানা দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।

সরজমিন দেখা গেছে, কলাতলী থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত অধিকাংশ সড়কের প্রশস্তকরণের কাজ হয়ে গেলেও বিদ্যুতের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে আগের জায়গায়। যার ফলে কলাতলী এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের খুঁটির কারণে বাকি কাজ এগুতে পারছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

গত নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে লিংকরোড পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেন করার কাজ। কলাতলী হয়ে বাইপাস-নতুন জেলখানা ও বাস টার্মিনাল হয়ে লিংকরোড পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা। কক্সবাজার সড়ক জনপথ বিভাগ কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

মাঝখানে ১০ ফুট ডিভাইডার, দুই পাশে ৬ ফুট করে ড্রেনসহ সড়কটি প্রশস্ত হবে ৭১ ফুট। ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে প্রায় ৯০ কোটি টাকা জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ জমির মালিকদের প্রদান করা হবে। বাকি অর্থ সড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে জানা যায়।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, হোটেল মোটেল জোনে সড়কের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে আগের জায়গায়। এতে এই সড়কের সুফল কাজে আসছে না। বিদ্যুতের খুঁটি উঠিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেন তিনি।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘সরকারি নিয়মে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ কক্সবাজারকে আমরা ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দিয়েছি। তারা খুঁটি সরালে কাজ যত দ্রুততম সম্ভব শেষ করা যাবে। ঠিকাদারদেরও সে রকম প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই আমরা কলাতলী-লাবণী পয়েন্টের হোটেল-মোটেল জোনের এ কাজ সম্পন্ন করতে চাই।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমাদের গত মাসে টাকা দিয়েছে। আমাদের ১১ কেভি লাইনের কাজ করতে হবে, সে জন্য আমরা মালামাল ক্রয় করেছি। আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করব। গত মাসের ২১ তারিখ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৮টাকা মালামাল ক্রয় করেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ আমদের এখনো খুঁটি বসানোর জায়গা দেখিয়ে দেয়নি তাই আমরা সব জায়গায় কাজ এখনো শুরু করতে পারিনি। তবে এলাকার কথা চিন্তা করে আমরা এর মধ্যে টার্মিনালের পাশে কিছু কাজ শুরু করে দিয়েছি আশা করছি শিগগিরই কাজ শেষ করতে পারব।

 
Electronic Paper