ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিবিরবাজার স্থলবন্দরে বাড়ছে চোরাচালান

কুমিল্লা প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০

কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দরে মিলছে না আমদানির অনুমতি। ফলে বাড়ছে চোরাচালান। বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থ বছরের ছয়মাসে ভারতে রফতানিকৃত প্রায় ৫৩ কোটি টাকার পণ্যের বিপরীতে একই সময় ভারত থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকার পণ্য। অপরদিকে, রাজস্ব বোর্ডকে বেশকিছু পণ্য আমদানির অনুমতির জন্য লিখিতভাবে কুমিল্লা কাষ্টমস্ কমিশনার চিঠি দিলেও অজ্ঞাত কারণে সেটা দীর্ঘদিনেও আলোর মুখ দেখেনি।

এ অবস্থায় কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্তপথে অবৈধভাবে প্রতিদিনই ভারত থেকে চোরাইপথে কোটি কোটি টাকার নানা পণ্য এদেশে প্রবেশ করছে। ফলে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বিপুল সম্ভাবনা থাকা স্বত্ত্বেও এখনো কাক্সিক্ষত আমদানি না থাকায় ঝিমিয়ে চলছে বন্দরের কার্যক্রম।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানির তালিকায় রয়েছে পাথর, সিমেন্ট, এমএস রড, ঢেউটিন, ইটভাঙ্গা মেশিন, টাইলস্, প্লাষ্টিক নেট, পিভিসি পাইপ, প্লাষ্টিক সামগ্রী, কোমল পানীয় ও টিস্যু। বিপরীতে ভারত থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে মাত্র ৯ টন পান আসে এদেশে। রফতানিকৃত পণ্যের মূল্যমান যেখানে ৩২ কোটি টাকার বেশি সেখানে আমদানিকৃত ৯ টন পানের মূল্য মাত্র ছয় লাখ টাকার কিছু বেশি । বন্দরের বেক্সিমকো’র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, আমদানির নির্দেশ না পাওয়ায় বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে বৈধপথে আমদানি করা যাচ্ছে না বহুপণ্য। বিগত ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ বৈধভাবে ভারত থেকে পণ্য আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাই করে কুমিল্লা কাষ্টমস্ কমিশনার দ্বিতীয় সচিব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকাকে আমদানি পণ্যের তালিকা দিয়ে পত্র দিলেও অজ্ঞাত কারণে সেটা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এই অনুমতিপত্রে সব ধরনের রাবার পণ্য, কসমেটিক্স, স্কেপ-ওয়েষ্ট আয়রণ/ষ্টিল ও কার্টুন, বৈদ্যুতিক মালামাল, মার্বেল পাথর, টায়ার-টিউব, তৈরি পোশাক, বিটুমিন, পেপার, জুতা, বেবীডায়াপার, ষ্টিলের সামগ্রী, টেষ্টিং সল্ট, বাইসাইকেল/সাইকেলের যন্ত্রাংশ, পুরাতন গাড়ি, বাদাম, ভুট্টা, চাল, তাজা ফলমূল ও শাকসব্জিসহ ৩৩ প্রকারের জিনিসপত্র আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

দায়িত্বশীল একটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, আমদানির অনুমতি না থাকায় ভারত থেকে প্রতিদিনই সীমান্তের কোন না কোন পথে কোটি কোটি টাকার মসলা, চা পাতা, টায়ার, টিউব, গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশসহ নানা ভোগ্যপণ্য আসছে চোরাইপথে। ফলে সরকার বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিশাল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিবিরবাজার ল্যান্ড পোর্টের সহকারী পরিদর্শক (ট্রাফিক) ফারজানা বেগম জানান, আমরা ইতিমধ্যে আমদানি-রফতানি করা পণ্যসহ চালক, হেলপার এবং দু’দেশে আসা-যাওয়া লোকজনদের নিরাপত্তা সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বন্দরের নিজস্ব ইয়ার্ডে সুবিধা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এতে বন্দরের রাজস্ব বাড়বে।

 
Electronic Paper