পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পারকি সমুদ্র সৈকত
মোহাম্মদ আলী আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
🕐 ২:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
পর্যটকদের পদচারনায় মুখর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় পারকি সমুদ্র সৈকত। শীত মৌসুমে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় এখানকার হোটেল, বিনোদন পার্ক ও রিসোর্টগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
প্রতিদিন হাজারোও পর্যটক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন সৈকতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য। পুরো পারকি বীচকে ঘিরে পর্যটকদের ভ্রমন নির্বিঘ্নে করতে প্রশাসনের রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের পর্যটন স্পটগুলোতে ভীড় জমিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। পর্যটকদের উল্লাসে ব্যাপক সমাগম রয়েছে মুখরিত রয়েছে দর্শনীয়স্থান। বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষে মনোরম পরিবেশে বিশাল এই সৈকতে পর্যটকদের মুগ্ধ করে আকাশ ছোঁয়া সারি সারি ঝাউ গাছ, সাগরের ঢেউ এর মৃদু ধ্বনি, বীচে রকমারি কাকড়া, নানা প্রজাতির অথিতি পাখির কিচির মিচির শব্দ।
অন্যদিকে মৎস প্রজেক্টগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। সন্ধ্যা হলে নব রূপে রূপ নেয় সমুদ্র সৈকত। সূর্যাস্ত দেখার অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার জন্য দর্শনার্থীরা ভীড় করে।
আবদুল হাকিম রনি নামের এক পর্যটক খোলা কাগজকে বলেন, সমুদ্রের ঢেউ অবলোকন, লোনা পানিতে গা ভাসিয়ে গোসল করা ও প্রকৃতির রূপ লাবন্য বিমোহিত করেছে।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পারকি বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই পারকী বিচে লক্ষ্যণীয় এবং দর্শনীয় পরিবর্তন হবে। পারকিতে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
পারকির হাসনাত পার্কের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আশানুরুপভাবে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। পর্যটকদের আরো আগ্রহী করে তুলতে এখানে বিনোদনের ব্যবস্থা এবং চাহিদামত উন্নত মানে খাবারের আয়োজন রয়েছে।