ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সড়ক বেহাল

মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার
🕐 ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২০

পর্যটন নগরী কক্সবাজার। বিশ্বজুড়ে যার পরিচিতি। অথচ প্রকৃতির সেরা উপহার এই শহরের পৌরসভা যেন অভিভাবকহীনভাবে পড়ে আছে। শহরের হলিড়ে মোড় এলাকা থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের পুরো অংশ খানাখন্দে সয়লাব হয়ে গেছে। তবুও জীবনের প্রয়োজনের এই খানাখন্দ মাড়িয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও যাত্রীরা।

কুমিল্লার সোহেল বলেন, এসেছি কয়েকদিন ঘুরতে কিন্তু অতি পরিচিত বার্মিজ মার্কেটে গিয়ে দেখলাম শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অনিয়ন্ত্রিত টমটম বা যানবাহনের চলাচলের কারণে অতি যানজট। তবে আশা করছি স্থানীয় প্রশাসন নজর দিবেন।

কউক সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পিত নগরায়নের অংশ হিসেবে কক্সবাজার শহরের ‘হলিডের মোড়-বাজারঘাটা হয়ে লারপাড়া বাসস্ট্যান্ড’ পর্যন্ত প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীত হবে।

শহরের সৌন্দর্য বর্ধন ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকায় সড়কটি চার লেন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। গত বছরের ১৬ জুলাই একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে বলে জানান কতৃপক্ষ। গত ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা বলেছিলেন কউক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ। কিন্তু আজ অবধি কাজ শুরু হয়নি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, হলিড়ে মোড় থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটির মন্ত্রানালযের নির্দেশ মতে কাজ করবে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ (কউক), তারা যদি আমাদের সহযোগিতা চায় অবশ্যই আমরা করবো।

স্থানীয় বাহারছড়ার কলিম বলেন, নিজেদের অধীনে নিয়ে নেওয়ার পর কউক কয়েকবার বড় বড় খান্দখন্দে ইটের খোয়া ফেলেছেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুম বিদায়ের গত কয়েক মাসে একটি ইটের খোয়া বা এক মুঠো মাটিও কোথাও দেয়নি কউক। বরং কউক চেয়ারম্যানের দাবি ছিলো ইটের খোয়া ফেলে যে ‘সংস্কার’ করা হয়েছিলো সেখানে যে পরিমাণ টাকা গেছে তার সুফল পাওয়া যায়নি।

শহরবাসী বলছেন, শহরের চলাচলের একমাত্র সড়কটি মরে গেছে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, কক্সবাজার শহরবাসী মারাত্মক সময় পার করছে। শহরের সড়কের এমন করুণ দশা আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে সড়কের যে অবস্থা তাতে মানুষের চলাচলের উপায়ও নেই।

 
Electronic Paper