ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বীর সেনাদের মুখে গৌরবগাথা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯

মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে যুদ্ধজয়ের গৌরবগাথা শুনে মুগ্ধ তরুণরা। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার ও আল বদরদের হত্যার ঘটনা শুনে তারা যেমন হাত তালি দিয়েছেন, তেমনি চোখ ছলছল করে ওঠে হানাদারদের অত্যাচারের রোমহর্ষক বর্ণনা শুনে। কখনো আবার সহযোদ্ধা হারানোর ব্যথা, বাড়িঘরে পাকিস্তানি বাহিনীর গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দেওয়া, স্বজনদের নির্মম আত্মদানের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বয়ং মুক্তিযোদ্ধারা।

গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ‘বিজয়ের শেষ ৩ দিন, কেমন ছিল চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) চট্টগ্রাম অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছিলেন মনোযোগী শ্রোতা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হারিছ বলেন, এ মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চট্টগ্রামে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ হয়।

বিহারিরা যে বাঙালিকে কলোনিতে ধরে নিয়ে গেছে তিনি আর ফিরে আসেননি। ট্রেন দাঁড় করিয়ে বাঙালিদের বেছে বেছে হত্যা করেছিল তারা। গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জানত যেকোনো সময় একটি বুলেট বিঁধতে পারে। মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে যুদ্ধে গেছি আমরা। জনগণও ভীত ছিল না। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিত। খাবার দিত।

আবু সাঈদ সর্দার বলেন, জাতীয়ভাবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হলেও, চট্টগ্রাম মুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর। ১৪-১৭ ডিসেম্বর আমি ছিলাম আগ্রাবাদ এলাকার মৌলভী সৈয়দের বেইস ক্যাম্পে। তখন ওয়ারল্যাস ছিল না বলে খুব দূরের খবর পেতাম না। ১৪ ডিসেম্বর ৩০০ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হই মুহুরী পাড়ার বিলে। হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস আসে।

বাঙালি চালক ছিলেন। দুজন বিহারিকে পাই। তাদের ধরে মাটির দোতলায় আমাদের গোয়েন্দা সেলে নিয়ে যাই। তাদের তথ্য মতে একটি বাড়ি থেকে চারজন মেয়েকে উদ্ধার করি। কিছু অস্ত্রও পাই।

 
Electronic Paper