ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রাণ ফিরেছে রেলের জীর্ণ ওয়ার্কশপে

মোহাম্মদ ওয়াজেদ, চট্টগ্রাম
🕐 ৮:০২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯

এক দশকের ব্যবধানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ওয়ার্কশপের কার্যক্ষমতা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এক সময় প্রতিদিন একটি কোচ মেরামত হলেও বর্তমানে দৈনিক গড়ে দুটি কোচ মেরামত করা হচ্ছে। এক সময় অপেক্ষায় থাকা কোচগুলো দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও মেরামতের সুযোগ পেত না। বর্তমানে সেটি ছয় মাসের নিচে নেমে এসেছে। চলমান সংস্কার প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাহাড়তলীতে অবস্থিত এ কারখানার কর্মদক্ষতা আরও বাড়বে বলে মনে করছে প্রকৌশল বিভাগ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে পাহাড়তলীতে প্রতিষ্ঠিত কারখানাটিতে এক সময় নতুন কোচ নির্মাণ হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার কারণে রেলওয়ে কোচ মেরামত ছাড়াও নতুন কোচ নির্মাণে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কোচ মেরামতসহ ওয়ার্কশপ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোচ সরবরাহ তৎপরতা শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে বার্ষিক কোচ মেরামতের হার দ্রুত বাড়তে থাকে। সর্বশেষ নভেম্বর পর্যন্ত চলতি বছরের ১১ মাসে কোচ মেরামত হয়েছে ৫০১টি। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক কোচ মেরামত ৫৭০টি ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ।

রেলের প্রকৌশল বিভাগের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১০ সালে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের বার্ষিক কোচ আউট টার্ন ছিল ২৯৪টি। ২০১১ সালে মেরামত কার্যক্রম কিছুটা বেড়ে ৩২৭টিতে উন্নীত হয়। এরপর ২০১২ সাল থেকে ওয়ার্কশপের কর্মদক্ষতা ফের করতে শুরু করে। এরমধ্যে ২০১২ সালে ২৯৭টি, ২০১১ সালে ২৬০টি, ২০১৪ সালে ২৭১টি কোচ মেরামত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ২৯২টি, ২০১৬ সালে ৩৫৭টি, ২০১৭ সালে ৪৪৬টি, ২০১৮ সালে ৪৩৬ টি এবং ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৫০১টি কোচ মেরামত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে কোচ মেরামতের পরিমাণ ৫৭০টি ছাড়িয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের কর্মব্যবস্থাপক (ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এক সময় ওয়ার্কশপে মেরামতের অপেক্ষায় থাকা কোচের জন্য পরিবহন বিভাগ থেকে তাগাদা দেওয়া হতো।

অনেক সময় ক্যাটারিং সার্ভিস ছাড়াও বিভিন্ন দফতর থেকে ওয়ার্কশপে পাঠানো কোচ দ্রুত মেরামত করে দিতে সুপারিশও করা হতো। কিন্তু বর্তমানে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে কোচ মেরামতের জটিলতায় নেই। চলমাল উন্নয়ন প্রকল্প চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হলে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের কার্যক্ষমতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।

 
Electronic Paper