ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কালিধরে ডুবে আছে কৃষকের স্বপ্ন

শফিকু ইসলাম পলাশ, হোমনা (কুমিল্লা)
🕐 ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৯

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কালিধর বিলের একটি খাল দীর্ঘদিন খনন না করায় পলি পড়ে আর দখলে ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিলের চারপাশের হাজার বিঘা জমিও। বছরের পর বছর এভাবে ওইসব জমি অনাবাদী পড়ে থাকায় অসংখ্য কৃষক পরিবারের ঘরে আসে না ধানে। বছরের পর বছর ধরে পানির নিচে ডুবে আছে হাজার হাজার কৃষকের সুখ।

উপজেলার আসাদপুর এবং দুলালপুর দুই ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এ বিল। সরকারিভাবে মাত্র চার বিঘা জমি বিল হিসেবে বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও চারপাশে রয়েছে কয়েক হাজার বিঘা জমি। ভাঙন আর পার্শ্ববর্তী ভূমি মালিকদের জমি বাড়ানোর দখল প্রতিযোগিতায় বর্তমানে বিলটি মৃতপ্রায়।

বিলের দীগন্তজোড়া ফসলের মাঠটি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়ে সুখ কেড়ে নিয়েছে জয়নগর, উজানের কান্দি, খোদেদাউদপুর, পাথালিয়া কান্দি, কাশিপুর, দুলালপুর, কালমিনাসহ সাত গ্রামের কয়েকশ পরিবারের। বিলের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত খালটির দৈর্ঘ্য চার হাজার ফুট। খালটি দীর্ঘদিনেও খনন না করায় বিস্তীর্ণ জলাবদ্ধ ঘাসের জমিতে পরিণত হয়েছে।

খোদে দাউদপুর গ্রামের কেনু সরকার বলেন, বিলটি আমরা স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছি। কিন্তু সারা বছর বিলে পানি থাকার কারণে আশপাশের এক হাজার বিঘা জমি অনাবাদী পড়ে আছে। ঠিক মতো ফলন হলে বিঘা প্রতি ২০-৩০ মণ ধান পাওয়া যেত। এখন পাই এর অর্ধেক; তাও আবার চিটায় ভরা।

দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সওদাগর বলেন, খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের জমিতে চাষবাস হচ্ছে না। জমিগুলো আবাদী করার উদ্দেশ্যে খালটি পুনঃখননের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে আবেদন করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, এ উপজেলায় খননযোগ্য খালের একটি তালিকা ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের কাছে চেয়েছে। খননযোগ্য খালের একটি তালিকা তৈরি করতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। সেটি তৈরি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠাবো। আমাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তারা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে এবং বরাদ্দ এলে খাল খনন করব।

 
Electronic Paper