ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভিটে হারানোর শঙ্কায় মিরসরাইয়ের দুস্থরা

জিয়াউর রহমান জিতু, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
🕐 ৬:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া থেকে শুরু হওয়া চর লেন সড়কের জন্য আগেই কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসবাস করছিল। কিন্তু সম্প্রতি সড়ক বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে সেখানে আরও জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এরপর থেকেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক বরবর একটি আবেদনও করেছেন।

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ জানান, অর্থনৈতিক জোনের সড়কটি বর্তমানে দুই লেন আছে। সামনে চার লেন হবে। তাই পর্যায়ক্রমে আরও জমি অধিগ্রহণ হবে। তবে তা এখন নয়। সবার সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সাপেক্ষেই কাজ শুরু হবে।

একটি ভবন বাঁচানোর জন্য শুধুমাত্র উত্তর পাশে জমি নেওয়া হচ্ছে এ অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। তবুও সার্ভেয়ারদের বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করা হবে।

ভুক্তভোগী হালিমা আক্তার (৫৮) বলেন, ‘এ গ্রামে গত ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছি পৈত্রিক পাঁচ শতক জমিতে। চার শতকই অধিগ্রহণ হয়ে যাওয়ায় অবশিষ্ট এক শতকে ঘর বেঁধে থাকার আশায় পার্শ্ববর্তী ভাড়া ঘরে বসবাস করছি। এতে এ অবশিষ্ট মাটি চলে গেলে মাথা গোঁজার ঠাঁইও থাকবে না।’

বড়তাকিয়া বাজারের ১০টি দোকান হারানো প্রবাস ফেরত জাফর উল্লাহ (৫৫) জানান, প্রবাসের সব টাকা দিয়ে এ সড়কের মুখে পাঁচ শতক জমিতে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছিলাম। ১০টি দোকানই অধিগ্রহণে চলে গেলে এখন ছোট পরিসরে কয়েকটি দোকান আছে মাত্র। তাও চলে গেলে পরিবারের উপার্জনের আর কোনো বিকল্প পথ নেই।

বৃদ্ধ নুরুল হুদা (৬৫) জানান, বাপ দাদার সাত শতকের ভিটেমাটি থেকে পাঁচ শতক সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করায় বাকি দুই শতকে কোনোভাবে টিনের একটা ঘর বেঁধে বসবাস করছিলাম। কিছু সার্ভেয়ার এসে আবার এখানে মাপজোক করছে বলছে আবারও অধিগ্রহণ করবে। তাই বাকি জমি ওদের চলে যাবে। ছেলে নাতি নাতিন নিয়ে কোথায় যাব সেই চিন্তায় রাতে তার ঘুমও হচ্ছে না।

 
Electronic Paper