খাতুনগঞ্জে পিয়াজের আড়তে অভিযান
দাম স্বাভাবিক রাখার অঙ্গীকার
চট্টগ্রাম ব্যুরো
🕐 ১০:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০১, ২০১৯
পিয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দেশের বৃহত্তম এ আড়তে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রির খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন আড়তে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রির পান আদালত। এ সময় কয়েকটি আড়তের মালিককে জরিমানা করা হয়। আবার অনেক ব্যবসায়ীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। চাপে পড়ে নিত্যপণ্যটির দাম স্বাভাবিক রাখার অঙ্গীকার করেছেন আড়তদাররা।
মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় মেসার্স হাজী অছিউদ্দিন সওদাগর, মেসার্স আবদুল আউয়াল ও মেসার্স শাহজালাল ট্রেডার্সে মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পিয়াজ ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পান আদালত। এ সময় খাজা ট্রেডার্স নামের আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। আর কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে যে দরে পিয়াজ কেনা তার চেয়ে বেশি দরে আড়তদারদের বিক্রির প্রমাণ আমরা পেয়েছি। অধিকাংশ আড়তেই একই অবস্থা। প্রথমদিনের অভিযানে আড়তদার সমিতির নেতারা অঙ্গীকার করেছেন, তারা স্বাভাবিক দামে পিয়াজ বিক্রি করবেন।
এ বিষয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খাতুনগঞ্জে পিয়াজের আড়তদার আছেন প্রায় ২৫০ জন। কিন্তু মূল আমদানিকারক দশজন। এরা হিলি- বেনাপোল ও সোনা মসজিদ বন্দর এলাকার। আমরা আমদানিকারকদের হাতে জিম্মি।
তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। যখন আমদানিকারক বলে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে মাল দেবে না, তখন আমরা নিরুপায়। চট্টগ্রাম বন্দর ও অন্যান্য জায়গায় যত পিয়াজ এসেছে, তা দ্রুত বাজারে আসলে দাম ৫০-৬০ টাকায় নেমে আসবে।
বন্যা-বৃষ্টির কারণে অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলায় গত রোববার পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। এতে বাংলাদেশে পণ্যটির দাম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।