চাঁদপুরের মাছঘাট ইলিশে ঠাসা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
🕐 ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে প্রায় সব আড়তই ইলিশ মাছে ঠাসা। বড় বড় ট্রলার ও ট্রাকে করে হাজার হাজার মণ ইলিশ নামছে ঘাটে। হাকডাক দিয়ে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। আবার খুচরা ক্রেতাদের সংখ্যাও কম নয়। ঘাটের প্রত্যেক আড়তের সামনে ইলিশের বড় বড় স্তুপ। প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাইজ অনুসারে ১৫-৪০ হাজার টাকা। ইলিশের সঙ্গে অন্য মাছও বিক্রি হচ্ছে আড়ৎগুলোতে।
বৃহস্পতিবার মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ট্রলারগুলো থেকে শ্রমিকরা টুকরিতে করে ইলিশ নামাচ্ছে। অন্য শ্রমিকরা বড় বড় স্তুপ করে ইলিশ সাজাচ্ছে। ডাকে বিক্রির হওয়ার পর বাক্স ভর্তি করা হচ্ছে অন্যান্য জেলায় পাঠানোর জন্য। ব্যবসায়ী, পাইকারী ও খুচরা ক্রেতাদের ভীড়ে মাছঘাটে হাটার অবস্থা নেই।.
ইলিশ কিনতে আসা ফরিদগঞ্জের রাসেল ও শামিম জানান, আড়তে ইলিশের দাম বেশী। কারণ এখানে কম পরিমাণে ইলিশ কিনে কোন লাভ হয় না। তারপরেও তাজা ইলিশ ক্রয় করার জন্য এসে অনেকেই ভীড় জমায়।
ভাই ভাই মৎস্য আড়তের মালিক আব্দুল আজিজ জানান, দাক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি গত কয়েকদিন চাঁদপুরের পদ্মা- মেঘনার ইলিশ আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় চলছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হওয়ার কারণে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। মা ইলিশের জন্য নিষেধাজ্ঞার পূর্ব পর্যন্ত ইলিশের আমদানি চলমান অবস্থায় থাকলে জেলে ও ব্যবসায়ী সকলেই লাভজনক অবস্থায় থাকবে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি জানান, গত কয়েকদিন জেলেদের জালে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ ধরা পড়ছে। সাগরের প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আমদানি হচ্ছে। চাঁদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ এখন সয়লাব। শহর ও গ্রামাঞ্চলের অলিতে গলিতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
মাছঘাটের আড়ৎগুলোতে আসা ইলিশের মধ্যে ৬০% সাগরের ইলিশ বাকী ৪০% লোকাল পদ্মা- মেঘনার ইলিশ। ২০১৮ সালে চাঁদপুরের ইলিশের উৎপাদন হয়েছে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার মেট্টিক টন। আশা করছি এ বছর আগের চাইতে বেশি ইলিশ উৎপাদন হবে।